চন্দন কাঠের রথ
১
তৃতীয় নদীটার নাম কে
রেখেছিল
কে জানে!
ওখানে তো দারিদ্রের
ছোঁয়া
পকেটে রেখে টুকরো
মেঘ
শিকারীরা ঘুরতে
বেরোয়।
অথচ সরল চোখ তুলে
তাকালো
যে ছেলেটি
তার হাতে ভূমি
দস্যুতার পরোয়ানা
জলের উপরে ভেসে ওঠা
বেণী দেখে
ছেলেটির চোখ মুহূর্তেই
শিকারীর ফাঁদ।
২
কাঁটা ছড়িয়ে দাও
এইখানে
চোখের নিচে, বুকের
আশেপাশে
যেখানে অনেকগুলো রাত
জেগে থাকে
বিনামূল্যে, বিষণ্নতায়।
পা রাখুক এখানে কেউ
প্রথম স্পর্শ
পেয়েছিল চাঁদ
যেমন অনুসৃতির ভুলে
শর ও ব্যাধের
একত্রিত ভূমিকায়।
৩
ছুঁয়ে দিলেই অপ্রেম
যত
গলে গলে যায়।
রাতের ছায়াশরীর
থেকেও
খুঁটে খুঁটে নিয়ে
আসে
রৌদ্রবীজ তাই
ভরা ফাল্গুনের মুখ
থেকে
শেষ বিকালের কবিতা
সমূহ
উচ্চারিত হতে হতে
শাখা-প্রশাখা ছড়ায়
হৃদয় থেকে হৃদয়ে।
চোখ থেকে জন্ম নেওয়া
মরা কাঠের
পালংকগুলো
শুয়ে শুয়ে যেখানে
প্রেমও মরে যায় এক
সময়।
ঘুম ভুলে যাওয়া চোখ
যেমন চেয়েছ তুমি
স্বপ্নে বপন করেছি হীরামন পাখির মায়া
সাতশ বিশ মেগাবাইট শুধু দখল করেছে শরীর
বাকিগুলো ইনস্টল অযোগ্য
তবু যেমনটা চেয়েছিলে তুমি
উৎপন্ন হচ্ছে ক্রসবিডে আরো কিছু রসনার রসদ
কিছুটা বিপন্ন, কিছু তার অসুর ঠোঁটে
হঠাৎ লাগা ফোঁটা ফোঁটা সুরা।
স্বপ্ন স্বপ্নই
যে স্বপ্নে ঘুম নেই, আশা আছে
তেমনটাই শুধু কাছে পিঠে দোল খায়
তোমার স্বপ্নে কি এখনো উপজাতীয় দেব-দেবীগণ
লম্বিত স্তনে এঁকে রেখে যায়
খট্বাঙ্গের তামাশা!
এপ্রিল একটি
দুর্বিনীত মাস
স্বপ্ন আর বাস্তব
নিরিখে দেখে যাই রোজ
একটা মেয়ে মাঠে ফুলে
ফুলে ভালোবাসা লেখে
উবু তার কোলের কাছে
মিনি এক বেড়াল
অদূরে রোদ গায়ে মাখা
ইটভাঙা লোক, ক্লান্ত।
কত শব্দ, কত কথা
আশেপাশে গতিময়
মেয়েটি তবু ওই
একদিকেই চেয়ে থাকে
বসে থাকা লাল
স্কার্ট পায়ের নিচে ঢেউতোলা
ওপাশে রাস্তায়
যাত্রীবাহী বাসটা থেমে যায় অযথাই।
মেয়েটি কি ভালোবেসেছে
ইটভাঙ্গা ছেলেটিকে?
তার সাপ সাপ পেশী
এতই কি সবল;
আঁকড়ে ধরতে পারে
কিশোরীর তরল মুখ?
মেয়েটি একদিকে চেয়ে
হাসে আর হাসে।
দুজনার মাঝখানে অনেক
দূরত্ব স্বত্ত্বেও
আমার ভাবতে ভালো
লাগে ওদের মাঝে
অসঙ্গতিপূর্ণ নিরেট
কিছু প্রেমরস বয়ে যাচ্ছে
ডায়ালিসিস হওয়া প্রতিটা
সকাল ওদের প্রেমদিন।
পানি খেতে খেতে
পেছনের সাদা রঙ দেখি
অফিসে যাবার তাড়া
যদিও আমার চোখ আটকে থাকে
ব্যাকগ্রাউন্ডের
দুটো ডটের দিকে, এই মাস
ক্যালন্ডারের এই
পাতাটা আমাকে ভালো লাগায় ভরিয়ে রাখে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন