চা
টি-ব্যাগ নিংড়ে
সৌহার্দের শেষ ফোঁটা
ধরে ফেলি পাথরের
পেয়ালায়
তখন বিকেল
তোমার বুকের দিকে
তাকিয়ে বুঝতে পারি।
নুয়ে পড়া রোদ বুকের ওপর
ওকে টেনে নিয়ে যায়
সময়, নাভীর গভীরে, দক্ষিণে...
সময় কি দেয়?
নুয়ে পড়া রোদ!
সমুদ্রে আছড়ে পড়া
নদী, মানে মৃত্যু?
থাক এইসব
এই পেয়ালায় দু’চামচ স্মৃতি
খুব কড়া মিষ্টি চা-ই
এখনো আমার প্রিয়।
রস
রসের কলস উপুড় হলো,
শূন্য বোতল হাওয়ায় খাড়া
কুঁকড়ে গেছে...
ভাঁজ পড়েছে বলিরেখার
চাষ করেছে মাতাল কৃষক মাটির খেতে
বুড়ো দেখো কুঁকড়ে
গেছে
বুড়ি দেখো কুঁকড়ে
গেছে
শীতের বিকেল সেগুন
পাতা কুঁকড়ে গেছে
লেপের নিচে
শিবঠাকুরও
রাতের কলস উপুড় হলো
জল গেল কই
ডাবের ভেতর
ডাব গেল কই
গাছের মাথায়
গাছ গেল কই
হাওয়ার দেশে, চাঁদের দেশে
চাঁদের দেশে রসের বুড়ি
হাত-পা ছেড়ে কাঁদছ কেন, রস গেল কই
হাওয়ার গাছে রস ঢেলেছি, জল ঢেলেছি।
গাড়ি
গাড়ি চালাতে চালাতে ভাবছি গাড়ির কাছে যাব
কী যেন ফেলে এসেছি গাড়িতে
কী যেন পাই না খুঁজে সংসারের
হার্ডডিস্কে
নারীদের ড্যাশবোর্ডে
খুঁজে পাই না ওখানে, শৈশবের একটু
ওপরে
বয়ঃসন্ধির বাড়িতে।
তাড়াতাড়িতে ফেলে এসেছি কী যেন
গাড়ির সিটপকেটে, না হয় টুলবক্সে
না-কি ফার্স্টএইড বক্সের ভেতর
ডেটলগন্ধের নিচে?
না হয় পেছনে, ট্রাঙ্কের গুমঘরে।
গাড়ি চালাতে চালাতে তখন গাড়ির কাছে
যাই
গাড়ি কই?
এইখানেই তো গাড়ি ছিল, এই কৈশোরতলায়!
গাড়ি হারিয়ে ফিরে যাই...
গাড়ি চালাতে চালাতে গাড়ির কথা ভাবি।
রোদ্রের ঠোঙায় শিঙ্গাড়া কিনে আনে মেঘের ছেলেরাবিকেলটাকে
ল্যাঙ মেরে সন্ধ্যাবাবু ধুতি গুটিয়ে বসেন চিন্তার ছাদে।উরু ফাঁক করে
শুয়ে পড়ে রাত্রি ।আবারো
ডিজিটাল নারদবাতাশের ডিম, কষ্টের টুথব্রাশআর স্বপ্নের
জামা থেকে বোতামগুলো ছিঁড়ে ছিঁড়ে পড়ে পাথরের ফ্লোরে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন