বাদকের কাছে
নিঃস্পৃহ ফুঁৎকারে
ফিরে যায় চৌকস বাদকের দল
এমন হয় না
শব্দগুলি জোড়া লাগলে
বিরাট হত
চৌকস চৌকস
কিছু চটকদার বিজ্ঞাপনকে আলো করে
আলো ফেলা হচ্ছে
যে মৌমাছিরা মিতালি পাতায়
যে মাছি মশারা উড়ে
তারও ভনভন স্প্রে হয়ে যাচ্ছে
আর খেলতে পারছি না বলেই
বাদক শূন্য হয়ে পড়ছি রোজ
কিছু নাম ফলকের কাছে
আতশবাজিতে ভিজে উঠছে
সাপ-লুডুর ঘর
এগুলো ডিকোড হয় না...
তার একটা শেষ চেষ্টা থাকে
একটা শেষ গন্তব্য
আর তারও পিছনে
কিছু কলতান; এক ঝিনুক নদী
বয়ে চলা অবধি আপ্রাণ রোজ
চোরা গন্ধের ফসফরাস থেকে
বালি নড়ে উঠে তাই
এই শব্দগুলিই
পিতল বা কাঁসার হয়ে যাচ্ছে
বর্ণমালা ছাড়াই
ফোকাস বদলে যাচ্ছে ঘন ঘন...
খাসিয়া পাহাড়ের মেয়ে
নাজুক চোখ ঘুরিয়ে দেখি
মেঘের মনে উড়ছে পাখি
ঘন কালো কেশে
জমানো অন্ধকার ফিরে গেছে
বাতাস কেটে যাচ্ছে চুপিচুপি
রেওয়াজ নেই
নেই জানাশোনা
পুরাতন উপমা...
খাসিয়া পাহাড়ের মেয়ে
পানের বরজে মেলে দিয়েছে ডানা...
মেঘ ছিঁড়ে যায় মেঘে মেঘে
পুনঃকথনের বিপন্ন পংক্তিমালা হয়ে
যা অনূদিত হয় না
তবু খাসিয়া পাহাড়ের মেয়ে
পানের বরজে দেখে
অদ্ভুত শিলাবৃষ্টি
ক্ষণিক মনের আলপনা।
সীম গাছের সম্পর্ক
সম্পর্ক নোলক মাত্র
হাজিরা খাতায় যেমন প্রত্যয় থাকে
আজ একটা সীম গাছের
সম্পর্ক খুঁজতে গিয়ে
আরেকটা সীম গাছ-ই পেলাম
মায়া কায়াকে ধারণ করে
আর এই ক্ষমতার ভিতরে
রসায়নের কুলুপে আঁটা আচারে
এক চামচ ডুবে গেলে
চিৎকার করে বলতে থাকি
এই তুমি
এই তুমি
দেখ তোমার ভিতরে
সীম গাছ বড় হয়ে উঠছে
তবে মাঝে মাঝে প্রত্যয়ের ডালপালা ছেঁটে দিই
গাছটা কাছে নুয়ে পড়ে খুব
এদের দেখেও আহা - ভালোবাসা শিখি
রসায়নের কী বুঝি
মলয় চাকচিক্যে
রোলকরা খাতা থেকে সম্বিত উড়ে যায়
একটা পাখি হয়ে
সীম গাছের সম্পর্কগুলো
মনগুজারি লতিয়ে ওঠে খুউব...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন