জবানবন্দী
চল এজলাস এবার
মৃত্যুমুখি ঘোরতর জানালার
পাল্লা
চল চালাই জবান
তোর সব বলার ওপর লিখে দেব
কোথায় কোন কোন খুন করেছি...
তোর কথায়।
চল গলা টিপে দে পরসন্তানের
চল তোর পরাবাস্তব পিতৃত্বের
ওপর
বারুদের যবনিকা টানি
মা দেখেছিস?
মেয়েছেলেটা মা হয়েছিল;
লাশের নাম মেয়ে...
ধকধক ধকধক।
মেয়ে খুঁটেছিস
মা গিলেছিস
তোর দাঁতের রক্ত যাবার নয়
কালচে চটচটানি রাক্ষস...
ফ্রাংকেনস্টাইনের লিঙ্গ বদল
কারণ তুই, তুই বেখবর।
মা জ্বলছে ধকধকধক...
ব্যবচ্ছেদ
যখন হঠাৎ কোনো আণবিক মেঘ
বয়ে আনে আমার শোকগাথা
বৈদ্যুতিক চুল্লি সহবাসে
নির্লজ্জ গেয়ে যাই,
বরফশীতল আত্মকথা...
যদি সব শেষে দেখা যায়
পড়ে আছে কিছু শ্বেতরক্ত
কুচি
খুঁজেও যদি ব্ল্যাকবক্স
থাকে
সন্ধান চাই-এর দলে,
রক্তাল্পতার নাম রেখো
অশুচি।
অঙ্গার মুঠি নিঃশেষ হতে হতে
ক্রমান্বয়ে সাজানো থাকে
ঝুলবারান্দা ভর্তি
ম্লেচ্ছ রজনীগন্ধা।
আগুন ফুল
হাতের তেলোয় আগুন নিকবো
ঝর্ণা বলে ডাকলে যে আজ বড়ো
দেখবে কেমন পুড়তে খুশি হব?
বাঁকের ভেতর হারানো কথার
খাঁজ
যেই চিনেছো দুষ্টু
সন্ধ্যাতারা, জানো
তোমার নেশায় ফুল
ঠোঁটের ভাঁজ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন