মাড়াই
চেয়ে
থাকবে বলেই আসা হলো
কৌণিক দৃষ্টি থেকে
আড়ালে
রাখবে সুন্দর অন্ধকার হলো
তারতম্যহীন
এবারে
পটিয়সী মুখ শহরের ব্যানারে যথেচ্ছ বিহার
রাতও
মুখ লুকোবে জনান্তিকে জানিয়ে রাখবে আবহ-সংবাদ
ঢেউ
এসে নাম বলবে, বলবে চোরাবালির ফিউচার
কে
এসে বসবে তার তলিয়ে যাওয়ার বদনামে
সুখের
কথা পায়রাদের বলতে বলতে গুনে তুলবে পরমাদ
অলক্ষ্যে
আলাপ থেকে সেতারের সুর তখনই ঝালায়
ফিরিয়ে
নিতে হলে আতস বাজীর স্ফূরণ,
কাকে বাজি ধরা যায়
কে
ভিজিয়ে দেবে তুলো আতরে আতরে
কে
নেবে গালে অথৈ রঙের দু-চারটে প্রতীকী
কণা
সাবানের
কথা ভেবে ভেবে আরেকটা দিনের গেরো খুলে যাবে
স্ব-এ অধীন হয়ে আছে কুলোর বাতাস
শস্য
মাড়াইয়ের দেশে সে এক আউল বাউল
একতারা
তার হাতে টুংটাং থেকে ঝড় হয়ে ওঠে
খোসা
খুলে আসা এক একটি সকাল মুক্তি পেতে থাকে...
বয়সের
পাটিগণিত
বাতাসও
ঘুমিয়ে নেয় কখনও কখনও
তার
বয়স বাড়ে
ফিতে
কৃমির জন্য ওষুধ খায় শৈশবে
জামার
খেয়াল থাকে না কখন শরীরে উঠবে
দোলা
খেতে খেতে পেরিয়ে যাবে এক একটা কেক কাটার দিন
মেতে
উঠবে লাটিম তারই নিজস্ব গোল ঘেরায়
পেছনের
আদল থেকে সামনের ফাঁকায় যেতে ব্যাকব্রাশ
পোর্টেট
হতে থাকবে দিন বদলের ক্যানভাসে
আরেকটা
বিবিধ রচনাবলীর খসড়া জেগে উঠবে পানকৌড়ির ঠোঁটে
কীভাবে ফেরৎ দেবে এত অর্জন এত ধী
পর
প্রজন্মের হাতে দেবে সুতো জড়ানো লাটাই
পায়ে
পায়ে প্রতিশ্রুতির খোসাওয়ালা বাদাম
বাতাসে
বাতাসে মহাধুম বেলুনের ওড়াউড়ি
কাউকে
ভরাট করে করিডর নিজে ফাঁকা থাকে
শুকিয়ে
আসার আগে ফুল বুকে চেপে রাখে বীজের খামার...
এখানে
ওখানে
নিয়েছে
তরুণ হাওয়া ফুসফুস
বাথটাবে পুরোটা সকাল শোয়ানো
মেজে রাখছে পেয়ালা তারই যমজ
প্লেটকে
হাওয়াই
উপরে উঠলে দেখে নেয় ব্যস্ত ছাদের কোণা
আমার
কি আজ কোথাও যাওয়ার কথা ছিল?
না
গিয়ে হৃদ নিয়ে কপচে যাচ্ছি ল্যাপটপ অছিলা
তোমরা বলছ বিষাদ
বলছ মন কেমন করে
বিস্বাদ
সর্ষে
ফুলের মাঠ হাসির লহড়ে মধু দেয়
মোমের চাক ভরে ওঠে
দিগন্তকে ওরা আমাকে চিনিয়ে দেয় বিনা আয়েসে
ফিদা হতে হতে আমার হাতে উঠে আসে
গরম পোশাক
ব্যস্ত
হওয়ার বদলে নিখাদ তামার বালা আমাকে শান্ত করে
ফিরে দেখবার মুহূর্তটাই আর খুঁজে পাই না
তোমরা বল বিষাদ, আমি বলি এই তো
আমি...
এখন এখানে তখন ওখানে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন