শনিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৫

রঞ্জন মৈত্র

চিঠির পা দুটো 

তাহলে রাস্তাটিও চলে যায় 
ভুতুড়ে ভূতোড়ে 
জলের উৎরাই ঝর্না মনে হলো  
চিঠি লিখলে 
পৌঁছে দেয় ঐতিহাসিক বাচ্চারা 
প্রভাত ফেরীর পার্টি কংগ্রেসের সেই 
জল নেই জনস্থানমধ্যবর্তী গিরিটিও নেই 
তবু ডাকলে দুপুরে 
ছাতিমে প্রতিমে 
যখন রাস্তাটিও চলে যায় 

আহা বর্ণবিদ্বেষ 
দেশ বিদেশ টুকরো টুকরো 
রং চেনার আচমকা লমহা 
বয়ে যাওয়া নম্বর প্লেট 
মুঠির মধ্যে আঁকা অক্ষরগুলি 
মেঘ করে আসে 
টোটো গাড়ি হয়ে গেলে 
পা দুটোর জন্য একটু মন খারাপ হলো  


             
কল্প নায় 

উল্টো করে শব্দ লিখলে 
মজা হয় 
শ্লীলতাহানিও 
কাজল জানালো 
ঘোষ থেকে বসু হয়ে 
সোজা হয়ে সাগর কিনারে 

এই গল্পে সাগর এলে তো 
ঢেউও আসবে বালি ফেনা 
মাধুরিকা মেরিণ ড্রাইভ 
ঝাপটা লাগে বিট নোজলের ঢুকে যাওয়া
মেরিণ মাধুরী বালি 
খুঁড়তে খুঁড়তে ঢেউয়ে এসে 
ছায়া আর সোজা হয় না 
ছলকায় জাম 
শ্লীলতায় ফুল এসে রং চায় 
ফোন করে কাজল নম্বরে 
বসু থেকে ঘোষ যায় 
সন্ধ্যার টেবিল জুড়ে ডট পেন হোমটাস্ক 
আসি আসি মকাইবাড়িটি 
রব রব্বা সিঁড়িগুলো ওঠে নামে 
ঘড়িতে কনুই নড়ছে 
আর আঙুলেরা ডায়াল ফুঁড়ে মজা নেয় 
গল্পনায় মজা নিতে থাকে 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন