বই
চাঁদ আর চোখ নিয়ে আলোয় দেখেছি পথ --
সমস্ত যন্ত্রণা নিয়ে যে কালি পেয়েছে কালো রং
তাকে সাজাই অক্ষরে৷
কান্না ভুলে যে চোখ চঞ্চল --
হাসি ভুলে যে লেখে ব্রহ্মতালুতে জ্ঞান
জ্ঞানের মহিমা সেই আমি, তার কোনো উত্তর সাধক নেই৷
সমস্ত ক্ষতকে ঢাকি আলো দিয়ে, সমস্ত রক্তকে বলি কালি...
সমস্ত কলম জানে তার খঞ্জনগতি, সমস্ত খন্ডিত তারা আলো জ্বলেছে সূর্যতে৷
দীনবন্ধু তুমি, দিব্যজ্ঞানে দিবানিশি দীর্ঘকার হয়
যে ভাবে মুদ্রায় আসে অলৌকিক দিন --
চাঁদশিখা থইথই তবু বিজ্ঞান জেনেছে সাপ আর অভিশাপে সাক্ষী এই চোখ ও কলম৷
যা কিছু বইতে লেখা সে আমার শ্বাস - যে কালিতেই লেখা হোক –
সে আমার সরস্বতী পণ্যশালা৷
দাঁড়কাক
অমঙ্গল হবে জেনে তাড়িয়েছি তার স্বর
কা কা ডাকে যে আনন্দলহরী তার কোনো আনন্দ আছে কি?
আধিদৈবিক ছায়ায় জন্ম তার, তবুও সে এক পাখি...
আকাশ কি মুছে দেয় নীল?
গ্রাম শুধু অনুগামী শহরের নয়, পাখি জানে অনিরূপিত ক্ষুধা
বেহায়া জঠর আজও বড় আহাম্মক তাই সে চলে আসে শহরেও৷
কাক বড় উচ্চভাষী উচ্ছৃঙ্খল জানি, জানি অন্ধকার কালোয় ডানাটি তার কালো বেশি
দুপুরের নিঝুম বাড়িটি কাঁপে তার স্বরে, বাতাসেই খবর পাঠায় ঘরে ঘরে
বন্ধু নই, শত্রু নই তবু আমি তোমাকে দোলাব ঝড়ে জলে
সংকেতে বোঝাব এই প্রকৃতি আমার, আমি তোমাদের ভাগ্যচক্র৷
আমার ঐশ্বর্য বলে কিছু নেই, আকাশের ভাসমান মেঘে ডুবি আর ভাসি,
বসুন্ধরা, আমি কি তোমার নির্যাতক? তুমি কি আমার বিশৃঙ্খলা সহ্য করো?
তোমার ঐ বিষবৃক্ষে আমি বেঁধেছি বাসা
অমঙ্গল হবে জেনে তাড়িয়েছি তার স্বর
কা কা ডাকে যে আনন্দলহরী তার কোনো আনন্দ আছে কি?
আধিদৈবিক ছায়ায় জন্ম তার, তবুও সে এক পাখি...
আকাশ কি মুছে দেয় নীল?
গ্রাম শুধু অনুগামী শহরের নয়, পাখি জানে অনিরূপিত ক্ষুধা
বেহায়া জঠর আজও বড় আহাম্মক তাই সে চলে আসে শহরেও৷
কাক বড় উচ্চভাষী উচ্ছৃঙ্খল জানি, জানি অন্ধকার কালোয় ডানাটি তার কালো বেশি
দুপুরের নিঝুম বাড়িটি কাঁপে তার স্বরে, বাতাসেই খবর পাঠায় ঘরে ঘরে
বন্ধু নই, শত্রু নই তবু আমি তোমাকে দোলাব ঝড়ে জলে
সংকেতে বোঝাব এই প্রকৃতি আমার, আমি তোমাদের ভাগ্যচক্র৷
আমার ঐশ্বর্য বলে কিছু নেই, আকাশের ভাসমান মেঘে ডুবি আর ভাসি,
বসুন্ধরা, আমি কি তোমার নির্যাতক? তুমি কি আমার বিশৃঙ্খলা সহ্য করো?
তোমার ঐ বিষবৃক্ষে আমি বেঁধেছি বাসা
সবর্ণ সন্তান দেব বলে৷
গিরগিটি
বনবাসী রূপ কত যে অলৌকিক বহুভাষী হয় তার বিশেষণ তুমি!
রং রুটেও রঙিন তুমি, সেজে ওঠো সংগত কারণে নানারঙে৷
রক্ষাকবচে যে রচিত রচনাশৈলী তোমার মেহনতি তারিফ করেছি বারবার৷
রক্তাক্ত আমার চোখ মুখ তবু রং যেন মজার কৌতুক৷
উৎসবের সীমানা ছকে বহুমুখি স্বরচিত রূপে স্বয়ংসিদ্ধ তুমি৷
সযত্নে সম্রাট হয়ে বহুরূপী তবে কেন আজ সেজেছে বাউল?
শত্রু ওকে স্বাক্ষর করেছে বুঝি?
তাই সে স্বাচ্ছন্দ্যে বহু রূপ দেখিয়েছে আমাদের৷
বসুমতী বশীভূত যেন --
বহির্বাসে প্রসাধনী প্রহেলিকা, রামধনু হস্তগত, তাই বুঝি এত হর্ষধ্বনি!
আলাই বালাই কূট মতলব জানে না সরল জীব, শুধু
আক্ষেপ মেটেনি বলে এত রং বদলায়, তবু তার কখনো অনুশোচনা নেই৷
আপন সর্বস্ব ওই সর্বব্যাপী জন্মকর্ম যেন ঐতিহাসিক ঐতিহ্যে
সম বলবান রংমহল, রক্তের টান৷
বনবাসী রূপ কত যে অলৌকিক বহুভাষী হয় তার বিশেষণ তুমি!
রং রুটেও রঙিন তুমি, সেজে ওঠো সংগত কারণে নানারঙে৷
রক্ষাকবচে যে রচিত রচনাশৈলী তোমার মেহনতি তারিফ করেছি বারবার৷
রক্তাক্ত আমার চোখ মুখ তবু রং যেন মজার কৌতুক৷
উৎসবের সীমানা ছকে বহুমুখি স্বরচিত রূপে স্বয়ংসিদ্ধ তুমি৷
সযত্নে সম্রাট হয়ে বহুরূপী তবে কেন আজ সেজেছে বাউল?
শত্রু ওকে স্বাক্ষর করেছে বুঝি?
তাই সে স্বাচ্ছন্দ্যে বহু রূপ দেখিয়েছে আমাদের৷
বসুমতী বশীভূত যেন --
বহির্বাসে প্রসাধনী প্রহেলিকা, রামধনু হস্তগত, তাই বুঝি এত হর্ষধ্বনি!
আলাই বালাই কূট মতলব জানে না সরল জীব, শুধু
আক্ষেপ মেটেনি বলে এত রং বদলায়, তবু তার কখনো অনুশোচনা নেই৷
আপন সর্বস্ব ওই সর্বব্যাপী জন্মকর্ম যেন ঐতিহাসিক ঐতিহ্যে
সম বলবান রংমহল, রক্তের টান৷
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন