শনিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৫

বর্ণশ্রী বকসী

বৃষ্টি

অনেক দিনের শেষে মেঘবালিকার খাতা খুলি
বসন্তের আলাপি বিকে নামে তিন তলার ছাদে
যক্ষ বিরহিণী প্রিয়ার কাছে ভালোবাসার
নীলখামে গোলাপ পাপড়ি পাঠায়
দূরে কোথাও কৃষকের খড়ের চাল দিয়ে
নেমে আসে অযুত জলের ধারা
প্রণয় এখানে জীবনের বাস্তবে লড়াই করে,
ক্লান্তিতে বুজে আসা চোখ স্বপ্নে চোরাবালি দেখে
বর্ষণের রিমঝিম নৃত্য তবু জন্ম দেয়
প্রসবের ঊর্বরতা
মৃত্তিকায় শস্য অঙ্কুরিত হয়, মরমে জেগে ওঠে
অজানা ঢেউয়ে দুলে ওঠা মদিরতা


বরাক নদীর বাঁকে

দাঁড়িয়ে ছিলাম সেই নদীর বিমূর্ত খাঁজের পাশে
হাতছানি দিয়ে ডাকা পাহাড়ি ঝর্ণা বয়ে আনে 
অজানা রহস্য আর নুড়ি পাথরের সম্ভার,
কাগজকলের সাজানো টাউনে সন্ন্যাসী যায়
কমন্ডলুর জলে সই পাতে বরাকের জল
দূরের সীমানা ছেড়ে রাজপথ � ছুঁতে চায়
নারীর মোহিনী বেশ তিরছি নজরে এঁকে নেয়
গলে যাওয়া পিচের কাজলরেখা।
উচ্ছলতা পায়ে পায়ে পায়েলের মধুরতা লেখে
জেলে পাড়ায় চলে জীবনের স্রোত,
বারুণির স্নানযাত্রা শিশু তর্পণে শেষ হয়
বাসুকীর লেজে বাঁধা রাজার ডুবন্ত সিন্ধুক


সোঁদাগন্ধ

হঠাৎ দমকা হাওয়ায় ভেসে যায় যবনিকা
ফেলে আসা পথ শুধু মনে রাখে পথিকের 
অগ্র গমন, বেওয়ারিশ স্মৃতি চুইয়ে নামে
চন্দনী রাইত বারে সৌন্দর্যের অহমিকা নিয়ে
মুক্তমনার ঘরে মৃত্যুর নিথরতা রুদ্ধ দরজায়
কড়া নাড়ে; বহতা স্রোতের ধারা নিয়ে যায় 
নিয়ে যায় জীর্ণ কাঠামো ভাঙা প্রতিস্পর্ধি ঢেউ
লেখা হয় নতুন এক বপনের গূঢ় কথা।




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন