নিষেধের রঙ
সরাইখানার পাশে
দু’ দণ্ড জিরিয়ে নিও
এসি মেট্রো, স্মার্ট
কার্ড, প্রান্তিক স্টেশন পেরিয়ে
পাগলা ঘোড়ার মতো
ছুটে যাচ্ছ তুমি
বাতাসে আজান, দিগন্ত
ঘিরে মাংসপিণ্ড ভাসে
এই ঘাম, এই নাভি,
এই বুক ভরা বিষপাত্র
উপচে পড়ছে শোক-
আমিও বেরিয়ে পড়েছি
সংসার পার হয়ে
নিষেধের বর্ণ
খুঁজতে-খুঁজতে
এগিয়ে যাচ্ছি
তোমারই দিকে।
অবিশ্বাস্য রাত
সুবর্ণরেখার তীরে
কোনো আগাছায়
রয়ে গেছে গাঢ়
অপরাধ,
সেই কবে থেকে
হৃৎপিণ্ডে আগলে রেখেছি
নোনাগন্ধী ঘাস, ফুল,
ক্ষমা-
মধ্যরাতে উপুড়
হওয়া বিস্তীর্ণ পোশাক
আর বিয়ারের ফেনার
পাশে অনুর্বর নাভি,
অচেনা নদীর কাছে
জমা থাক
সমবেত পাললিক
ক্ষোভ
এইসব অবিশ্বাস্য
রাত নিশ্চল, মাতাল।
ব্যক্তিগত জানালা
খুলে
ব্যক্তিগত জানালা
খুলে
অবিরল ঝরে যায়
স্থান-কাল-ক্ষোভ,
বয়স বাড়লে
অন্ধকারে
কেউ কেউ স্নানঘরে
নিজেকে লুকায়,
কেউ বা বুকের নিচে
চেপে রাখে চেনা কুয়াশা
আর নেশাতুর
কথামালা ভেসে চলে যায়-
হৃদয়ের পলিমাটি
খোঁজো না কি তুমি!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন