শনিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৫

শঙ্কর বসু

আত্মকৃপা


সাধু-গুরু-ভাই পরিবারে
একজন কপট থাকা ভালো ...
নিজের প্রেতের সাথে, প্রতিনিয়তের
দ্বন্দ্বে ভ্রমে মোহে ও মাৎসর্য্যে তারও
চালায় আগুন, ঘর আলো ...
সোনার শেকলে পাকে পাকে
কোমর পর্যন্ত পাঁকে গেঁথে থাকে ভাবসমাধিতে
শলাকার লৌহ-আঁচে
বুকের মোমিন দেয় শিনায় শিনায় তাকে বেড়
যদি সেই শেকল ভাঙিয়ে, দিনে দিনে
তামার, লোহার কিছু তার সেও
'ড়ে বেঁধে দেয়, ধাতু চিনে ...



হাওর


কখন তোমার চোখে পড়ে গেছি!
রে গেছি নেশাচূর... মধুর ফোঁটায় ডুমো বেভুল ভ্রমর
শানানো দা-এর ছ্যাঁকা সেই থেকে
কালোয় হলুদ ডোরা অঙ্গবাস!

কেঁদে ওঠে সন্ধ্যার বাতাস
টানটান উঠে ব'সি পাটাতনে...

হৃদাকাশে ফুলে ওঠে মহারাত্রি
খন্ড দুলে ওঠে জলে
ছইয়ের ভেতর একা শিখা শুধু কাঁপতে কাঁপতে জ্বলে
আলতো ছুঁয়ে থাকে শবশরীর আমার...


নোঙর

এই গ্রামরাত্রি, এই
চারচালার ডেরার আবছায়া, শান্ত কূপি
আচ্ছন্ন আত্মার এই জলসত্র!
হাওয়া ছুঁয়ে ফিরছে আলগোছে,
কিশোরীর রোঁয়াধরা হাতে
বিপুলা পদ্মার বুক--
শীতল নিঃশব্দ তার আসা-যাওয়া পথে
দ্বগ্ধ, অস্থির বসে মুসাফের কত জন্ম!
স্পর্শে-বিষে বিষক্ষয়
পুড়ে পুড়ে নিষ্কলঙ্ক
সুর থামলেই খুঁটি ছিঁড়ে
ভেসে যাবে কূলহারা...
ডুবে আছে বাতিনৌকা এ কাকজ্যোৎস্নায়
এই অফুরাণ অনন্ত প্রহর...






কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন