মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৪

১৫) পায়েল নন্দী



পায়েল নন্দী


শারদীয়া
শুভেচ্ছাময় শারদীয়া বলতে ঢোঁক গিলেছি ধরে ফেলেছ।
ভালো কাটুক বলতে প্রবল বর্ষার কথা ভেবেছি।
ভিজে জবজবে, কাদা পায়ে যেন কোনোমতেই
হিংসাযোগ্য না হয়ে ওঠো
প্রা কামনা করেছি তাই।
ভীষণ অসুখ করেনি অথচ চির রুগী আমি
এই মুহূর্তে তোমায় অসুস্থ হতে বলছি।
যদিও ঢের অপেক্ষা ছিল এই উৎসবে আমারও
তবু এই মুহূর্তে চাইছি,
প্রতিমা দর্শনের সমস্ত ইচ্ছা চলে যাক তোমার
এখুনি চাইছি বিষণ্ণতা কালো করে দিক আমাদের।


ইম্প্রেশান
যে ইম্প্রেশানে মসৃণ করেছ ঘরের দেওয়াল
আরও অবহেলা করলে না যে চুন দেওয়াল,
খোসা উঠে গেলে তারা কিছুতেই কথা বলবে না আর।
মসৃণ দেওয়াল ধীরে ধীরে তোমার চেয়েও তোমার
খুঁত টেনে ঢেকে দেবে রঙিন প্রলেপ।

ঘড়ি
ঘড়ি চলছে
১ ঘণ্টা, ২ ঘণ্টা।
সময় অতীত করছে যে, তাকে
তুমি বর্তমানে টাঙ্গিয়ে রেখেছ,
ভবিষ্যৎ পেরনোর উদ্দেশ্যে।

সাদা
অকালে সাদা হয়েছে যে চুল
তার অভিজ্ঞতা আছে।
রঙ ঢেকে ইয়ং করে রাখছ।
ভুলে যাচ্ছ
সময় পেরলে ফিরবে নিজের রঙ-এ।  

রাগ
বাবাকে বলা যায় না যেসব রাগ,
মাকে বোঝানো দরকার আমার আসলে কোনো রাগ নেই।
আমার আসলে ব্যর্থতাটুকু  
হিমালয় ছোঁয়া স্বপ্ন দেখে ফেলে।

বুক টনটন
বহুরূপী এসে সময় খাবলে নিচ্ছে
এলোমেলো করছে শরীরযন্ত্র,
বুক টনটন হলে মা বলছে অ্যাসিডিটি
প্রতিবার বোকা বনে যাচ্ছি এভাবে।  



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন