মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৪

১৪) মোনালিসা চট্টোপাধ্যায়



মোনালিসা চট্টোপাধ্যায়

পাটিগণিত  

লাভ লোকসানের অনুপাত কষা শুভকর্ম
রাশি রাশি ভেদ আর যেন অমৃত মহেন্দ্রযোগে
নিবিড় যোগাযোগ৷
পবিত্র কান্নার জল বানভাসি নয়
একফালি ভাগাভাগি ঘর
এই উত্তর উত্তরণে সুখ দুখ জাগানিয়া
এই মহাতারকাদের চেনা দিতে পারলে পরমাত্মীয়
কৌতূহল আছে, যুক্তি নেই - শুধু ভয়৷


ছায়াপথ ছুঁয়ে ছুঁয়ে  

তোমাকে পেয়েছি ছায়াপথ ছুঁয়ে ছুঁয়ে  
ধীরে ধীরে মেঘ দিগন্ত সংশয়ে
এসো হাত ধরো অশ্রুর সন্ততি
ছিন্ন ভ্রুণ প্রেম বিরহের রতি৷

ঘুমন্ত প্রভু কতটুকু দিতে পারো,
পায়ের গোছেও শৃঙ্খল বেঁধে রাখো৷
অকুন্ঠ মেঘ রোদের অচেনা নাভি
সূর্যে সূর্যে প্রবেশ সকূল দাবি৷

দগ্ধ করেছো চুম্বন ঠোঁট চেপে -
দীর্ঘ অতীত ত্ত্বাটি মেপে মেপে,
পরকীয়া মেঘ একান্ত নশ্বর৷
সঙ্গম জানে, প্রিয় বাসরঘর৷

মেঘধূত ছুঁয়ে চূর্ণী যে নদী ডাকে 
মেঘ ঢেকে দাও, ভেতরে আকাশ থাকে,
তোমাকে দেখছি যতটুকু দিতে পারো
আমার আমিকে মেঘেই ভাসাও রাখো৷

লুকোচুরি

রোজ রোদ এসে পড়ে ধানগাছে, মেঘ হামা দিলে সরে যায় রোদ৷
বাধ্যতামূলক কোনো চকবন্দি সীমানার মাঝে ভরেছি রোদ্দুর?
কেমন রঙ্গরস খেলা! হইহই রইরই কে দেয় আড়াল ওকে?
শৈশব পেয়েছে যেন ঐক্যবদ্ধ আনন্দের খেলা!

যে খেলায় মেতেছে খেয়ালি দক্ষ যাদুকর,
সে খেলার গোলক ধাঁধার অর্থসুখ জানি৷
মেঘ জানে না খেলার কোনো বয়স আমার নেই
আলো আাঁধারির আকার প্রকার আলেয়ার রূপ ধরে...
অলকমেঘের বৃষ্টিঝড়ে সাঙ্গ হলো খেলা৷

ঘুম
  
সভ্যতা প্রাচীন, তাই আমরা প্রাগৈতিহাসিক মায়া ভুলে খুঁজি জীব ঈশ্বরের দ্বিধান্বিত রূপ
নির্লিপ্ত প্রহর জানে এই জন্মাধিকার গর্ভস্থ থেকে হস্তগত, তবুও আমরা শিশু হব শৈশবকে মনে রেখে৷
ঘুম এলে ত্র্যহস্পর্শে বাঁচি, কেননা ঘুমেই আলোচ্ছায়া স্বপ্ন আসে৷
আদিবাসী সরলতায় মজেছে বনবীথি, সেই সুখে ইচ্ছাপত্রে স্বর্গ নামে মাটিতে৷
সে জানে না কখন ঘুম আসে নি:সম্বল চোখে৷
বেপথু নিখোঁজ সেই মানুষটি ঘুমকে ভেবেছে নবজাতকের সোহাগ
আর বিরামের দিনমণি৷


1 টি মন্তব্য: