পৃথা রায়চৌধুরী
চন্দ্রাহতা
অপর পক্ষের দেওয়ালে সিঁদুরে স্বস্তিক জানান দিয়েছে
তোমার কাছে, বাজি
রেখেছি অপার আশার এক সিন্ধু অনন্ত
তীর ধনুক শিশু শেষটা প্লাস্টার জড়ানো বোকামির দায়
নিয়েছে;
সশব্দ তাগিদে ফুটে ওঠে শুধু উৎসাহী আকুলতা,
চোখ দাও মনের মতো করে,
যেখানে হাওয়ারও রঙে
বাঁধা থাকে পুনর্জন্মে তোমাকে পাবার মানতনুড়ি।
স্থির আয়নায় গতিশীল হয়ে যায় ছবি,
অন্তহীন মধ্যরাতে সুর তোলে সর্বনাশী কুহকিনী
সম্পর্ক কন্ট্র্যাক্টে সৃষ্টিকর্তার দায়সারা সই মেলে না;
মন দিয়ে নাড়ির টানে ভালোবাসা উল্কি ফোটাবো
আসন্ন স্নানকালে স্খলিত বর্ম অস্বাভাবিক সুস্থির,
চাঁদ টেনে নেয় ভেঙে পড়া বাঁধের সংযমী নুড়ি অনায়াসে।
দশকরকম্বা
বেবাক গেছে কেটে বছর কুড়ি
তবু খোদাই স্পষ্ট তুমি প্রেমপ্রত্ন মাঝে
রোজ সবুজ মেয়ে শ্যামলা শাড়ি
ভিড় বাসে ডিওডোরেন্ট,
শহর ঘামে ভেজে।
একুশ তন্বী দুটো চুলে পাক
তোমার কোলে মাথা রেখে,
মোড়ের মাথায় মিছিল
মধ্যে শুধু শরীর দেওয়াল থাক
সন্ধ্যে রোদে স্বপ্ন ছায়ায় চাঁদ পাহাড়ের পাঁচিল।
আকাশচাটা কংক্রিট জলছবি
অ্যাক্রিলিকের জানালা খোলা, সুযোগ খোঁজে মেঘ
বাস্তব মানে যুক্তির হাবিজাবি
তেইশ পাতায় হলুদ গোলাপ,
ফালতু এ আবেগ!
শূন্য দান
স্বভাব ভিক্ষেচ্ছা পায় আজকাল
এক ঝুলি তুলকালাম হ্যাংলাপনা
চৌকাঠে হাপিত্যেশ করে থাকে,
সব ভর্তি ‘দাও না’।
চুল্লিতে যেতে সময় নিকেশ
তড়িঘড়ি মাইক্রোওয়েভে সৎকার
লাল আগল দরজায় বুড়ো বাস্তুসাপ গুটিসুটি
নিষিদ্ধ আপেল সদরে করাঘাত
কুক্ষিগত আদব কায়দার।
যজ্ঞকুণ্ডে নিত্য পুড়ে বাঁচে
মসৃণতায় তেষ্টা আঁচড়
অবাধ্য ইচ্ছেপোকা আঁচে
প্রকাশ্যচারী ভিখিরি ঈশ্বর।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন