বিতস্তা ঘোষাল
তুমি ও শব্দমালা
একটা নতুন কবিতা লিখব
বলে ছুটে চলেছি,
আলো খুঁজছি অথবা তোমার
গভীর চোখ
সাত রঙ ভাঙতে ভাঙতে অনেক
রঙ
তবু কবিতার রঙ মেলে না।
হাত দুটো ধরবে?
ছুঁয়ে দেবে তোমার
যাদুকাঠি?
তারপর মুখোমুখি বসে
গল্প...
পাহাড় নদী জীবনের গল্প
গল্প শেষ হলে বহু
শতাব্দীর কবিতা লিখব
আর তুমি ছুঁয়ে যাবে
যাবতীয় শব্দমালা।
আকাশ-বাড়ি ছোঁব
একটা সিঁড়ি বানাচ্ছি
হাজার বছর ধরে,
আকাশ-বাড়ি ছোঁব।
ইঁট-কাঠ-বালি জড়ো করি,
রোদ-বৃষ্টি-শীত উঁকি
মারে,
শ্যাওলা জমে
এ শরীর দেওয়ালে।
বটগাছ শতাব্দী পেরোয়
আকাশ-গঙ্গা মাটি ছোঁয়
কয়েকশো কোটি সীতা পুড়িয়ে
রাবণচিতাও ক্ষয়মাণ
আমি সবে দশ সিঁড়ি ছুঁই।
ফেসবুকে খুঁজে নেব
যেই মোবাইল নম্বর দিতে
গেলাম
‘ফেসবুকে খুঁজে নেব’ বলে
চলে গেলে।
সেদিন থেকে আমি খুঁজে
যাই –
কৈশোর-নদীপাড়-আমের
বন-ধানের ক্ষেত
প্রথম প্রেম
চোখে চোখ রেখে বলা গোপন
শব্দ
‘ভালোবাসি’।
খুঁজি মেঘভাঙা বৃষ্টি
দু’হাঁটু জল
সেই রেল লাইন
টুকরো টুকরো স্বপ্ন
লাল নীল ঘুড়ি
রঙিন প্রজাপতি
খুঁজি খুঁজে চলি –
তুমি কাকে খুঁজবে
ফেসবুকে!
হাতছানি
অবশেষে পৌঁছলাম।
রাস্তাটা সহজ ছিল না
গলি মাঠ আলপথ...
অচেনা এক হাতছানি...
সেই ঘুম মেয়েটার,
চোখে মদিরতা, ঠোঁটে
গোলাপ
ছোঁয়ার নেশায় ছুটেছি
এখন গোধূলি
সামনে খাদ,
আর এক পা এগোলেই...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন