জিনাত ইসলাম
পলাতক
সামনে গিরিখাত,
নিশ্ছিদ্র অন্ধকারে
হারানো পুরনো আত্মপরিচয়
রুদ্ধশ্বাসের এক
রোমাঞ্চকর কাহিনী
নাম- পলাতক সৈনিকের
জীবন অমনিবাস।
আশৈশব লড়াই ছিল জারি
দুধ, মাছের গোপন সরবরাহে
দারুন ছিল মায়ের হাত
ভিটামিনের আয়োজনে
আমি পড়েছিলাম বাদ
মায়ের সঙ্গে মন থেকে
আড়ি, মুখে ছিল ভাব।
কৈশোরে আবার চোরাপথ
প্রেমিকের চোখের কোণে লোলুপতার অবিশ্বাস
আগুন তবু জ্বালিনি
বেণীমাধবকে দিয়েছিলাম
নিঃশর্ত বিদায়।
স্বামী ছিল
স্বনির্বাচিত
কসাইয়ের হাতে
প্রতিদিন হতো নিরীহ পশুবধ
অভালোবাসায় পরাস্ত
ছিল শরীরের অভিনয়
নিষ্ক্রিয়তার অবসানে
হলো অনিবার্যতার জয়।
সাদা ফুলের মেলায়
আমিই সেরার সেরা
প্রথম সারির
ফুলদানিতে আমি পাই শোভা
ময়ূর রঙা কণ্ঠ আমার, আমি ক্ষণবিধ্বংসী
পঞ্চত্রিংশত্তমী
রমণী, অপরাজেয় শুদ্ধান্তবাসিনী।
অগ্নিবান
বাড়ির কন্যার নববধূর বেশে
অঙ্গসংস্কার
ভালোবাসার কিঙ্কিণী ধরার বুকে
তোলে ঝড়
সৃষ্টিছাড়া ছলাকলায়
কৃত্রিমতার ছোঁয়া
স্বামীর আদরে আকাশ জুড়ে ব্যস্ত
ডানা মেলা।
ক্ষণজন্মা ভালোবাসার মোহনা মেলে না
শিরায় শিরায় বইতে থাকে দিশা
জানে না
রক্তবীজে বসে থাকে ঘাতক
প্রহরী
বিছিয়ে দেয় মকমলের মিথ্যা
প্রতিশ্রুতি।
কথা
ছিল আমার হৃদয়, তোমার হৃদয় একাকার
শরীরে আজ অঙ্কুরিত পঞ্চমুখী
বিষের শিকড়
বেনামী এক প্রতিবিম্ব করে
ছায়ার তোলপাড়
অগ্নিসাক্ষীর দহনে পোড়ে
সতীত্বের শব।
বিবাহ, পরিবার, সন্তান চলে আপন রাজপথে
দাম্পত্যের চোরানদী কচুরিপানায় ভরে
বদ্ধ জলাশয়ে কীট পোকা করে অবগাহন
স্বপ্নের শরশয্যাতে ভালোবাসার মৃত্যুবরণ।
হে প্রেমদেবতা, চক্রব্যূহ তোমার এমনি ভয়ংকর
গ্রাসের ভয়ে অনেক দূরে ওষ্ঠাগত প্রাণ!
জীবন যদি মেলে তবু শরীর মরে
অসাড়
সর্বহারার দেওয়াল লিখন জুড়ে ব্রতধারীর
হিল্লোল।
এই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।
উত্তরমুছুন