পারমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়
সিরিয়াস নোট
(১)
সিরিয়াস নোটে কবিতা লিখিনি কোনোদিন
কবিতার হাটে ভবঘুরে, করি ফাজলামি
ছেঁড়া বাসস্টপে একযুগ ধরে
কবিতার হাটে ভবঘুরে, করি ফাজলামি
ছেঁড়া বাসস্টপে একযুগ ধরে
এন্টারটেইন করে একজন
আর আমি ফেসবুকে করি পাগলামি।
(২)
আর আমি ফেসবুকে করি পাগলামি।
(২)
বুড়ো বিধাতার কাছে
ঠাসা মেদ জমা আছে
আছে গার্নিস্ ড টেস্টি-মোনিয়ালস্
আমার দেখা হয়ে গেছে চক্ষু মেলিয়া
ভাঙা রাস্তায় দুই পা ফেলিয়া
বেতো কুমীর জালি ঘড়িয়ালস্
(৩)
ঠাসা মেদ জমা আছে
আছে গার্নিস্ ড টেস্টি-মোনিয়ালস্
আমার দেখা হয়ে গেছে চক্ষু মেলিয়া
ভাঙা রাস্তায় দুই পা ফেলিয়া
বেতো কুমীর জালি ঘড়িয়ালস্
(৩)
রাখালের বাঁশি নেতাজির হাসি
কুড়ায়ে কাচায়ে রাখা পাশাপাশি
গায়ে উড়াইয়া রাষ্ট্রবিজ্ঞান নামাবলী
মরা শৈশব আর নেশাখোর গালি
ফুল এক্সপোর্ট পড়ে আছে মালি
প্রেমে জড়াজড়ি আধমরা প্রাণ
ছোটলোকে নাচে কথাকলি।
কুড়ায়ে কাচায়ে রাখা পাশাপাশি
গায়ে উড়াইয়া রাষ্ট্রবিজ্ঞান নামাবলী
মরা শৈশব আর নেশাখোর গালি
ফুল এক্সপোর্ট পড়ে আছে মালি
প্রেমে জড়াজড়ি আধমরা প্রাণ
ছোটলোকে নাচে কথাকলি।
কাঞ্চনজঙ্ঘার ছায়ার ওপর
দাঁড়িয়ে ছিলাম কাঞ্চনজঙ্ঘার ছায়ার ওপর
আধভেজা কবিতারা উড়ে যাচ্ছিল বাসের মাথায়
আকাশবাণী হয় —
পরের জন্মে তোমায় ছোঁব
তিস্তার জল নীল হলে
মনের গালিচা ঘিরে দেব
হাজার দেবদারু ইউক্যালিপটাসে
সামনে দাঁড়িয়ে বলব —
“বল বীর চির উন্নত মম শির-
শির নেহারি আমারি...”
ছায়ার দিকে তাকাই কাঞ্চনজঙ্ঘার
সোজা তাকাতে পারি না আজকাল
পা টলে ঘুম লেগে থাকে গায়ে
টুপটাপ ঝরে বর্ষায়
টিউলিপ স্বপ্নেরা
সোজা তাকাতে পারি না কাঞ্চনজঙ্ঘা
ঢালু পথ বেঁকে গেছে শহরের শরীরে
সবুজ খোলস পড়ে যায় খাদে
কাঞ্চনজঙ্ঘা, এখানেও পাথর কাটলে ধ্বস নামে
টারবাইন ঘুরলেও
রাস্তা বন্ধ সরু রাস্তা সরু হয়
পাশাপাশি চলা যায় না
আমি ছোঁব না তোমায় আর
তুমি এগিয়ে যাও কাঞ্চনজঙ্ঘা
আমি ফিরে যাব শহরে
পেছনে পড়ে থাক রামধনু কলঙ্ক তোমার আমার
ছায়ার ওপর দাঁড়িয়ে থাকি কাঞ্চনজঙ্ঘার
আর টারবাইন ঘোরে বুকে —
আমি নতজানু হতে শিখিনি ভাগাড়ের সন্মুখে।
দাঁড়িয়ে ছিলাম কাঞ্চনজঙ্ঘার ছায়ার ওপর
আধভেজা কবিতারা উড়ে যাচ্ছিল বাসের মাথায়
আকাশবাণী হয় —
পরের জন্মে তোমায় ছোঁব
তিস্তার জল নীল হলে
মনের গালিচা ঘিরে দেব
হাজার দেবদারু ইউক্যালিপটাসে
সামনে দাঁড়িয়ে বলব —
“বল বীর চির উন্নত মম শির-
শির নেহারি আমারি...”
ছায়ার দিকে তাকাই কাঞ্চনজঙ্ঘার
সোজা তাকাতে পারি না আজকাল
পা টলে ঘুম লেগে থাকে গায়ে
টুপটাপ ঝরে বর্ষায়
টিউলিপ স্বপ্নেরা
সোজা তাকাতে পারি না কাঞ্চনজঙ্ঘা
ঢালু পথ বেঁকে গেছে শহরের শরীরে
সবুজ খোলস পড়ে যায় খাদে
কাঞ্চনজঙ্ঘা, এখানেও পাথর কাটলে ধ্বস নামে
টারবাইন ঘুরলেও
রাস্তা বন্ধ সরু রাস্তা সরু হয়
পাশাপাশি চলা যায় না
আমি ছোঁব না তোমায় আর
তুমি এগিয়ে যাও কাঞ্চনজঙ্ঘা
আমি ফিরে যাব শহরে
পেছনে পড়ে থাক রামধনু কলঙ্ক তোমার আমার
ছায়ার ওপর দাঁড়িয়ে থাকি কাঞ্চনজঙ্ঘার
আর টারবাইন ঘোরে বুকে —
আমি নতজানু হতে শিখিনি ভাগাড়ের সন্মুখে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন