ছয়-আনা উপখ্যান
ভাবনা পর্ব
আমার কবিতাগুলো পরী নিয়ে গেছে
দুধের শাদা ঝরনার দেশের পরী
ভাবুক মন, জলহস্তীর মতো গা ডুবিয়ে আছে চিন্তার তরলে...
বিরহ-অন্তরা
প্রণয় এখানে যথার্থই বিধবার শাদা আঁচলের ন্যায় ব্যথাতুর অসম্ভব মায়া...
সুহৃৎ-অভিজ্ঞতা
কৃষ্ণ সিক্ত উপাখ্যানে ছিনতাই যাওয়া চাঁদ
গন্ধর্ববিদ্যায় পটু হাওয়ার দক্ষিণমুখী গন্তব্য
মূলত বেঁচে থাকার সঙ্গীতে শেকলের শব্দ তাই
ছিন্ন পাপড়ি বুকে মমত্বের পুষ্পও নৃশংস হয়
মাধুকরী, বুভুক্ষের মতো হয়ে আছি
চোখের ক্ষুধা, হাতের ক্ষুধা, মনেরও কম যায় না!
নীলকন্ঠ ছদ্মবেশে জ্বরঠুঁটো তেতোর নাচন
সেই ব্যর্থকর্মযোগে চির-সুহৃৎ সুদক্ষ তীরন্দাজ।
ক্ষয়-বিশ্লেষণ
ক্ষতের রঙ নিয়ে নির্ভুল প্রস্ফুটিত হয় রক্তজবা
কষ্টেরাও শৈল্পিক হয় জেনেছি আমি...
প্রাপ্তি-কথা
জেনে নিও,
ধ্বংসাত্মক লীলাই সৃষ্টির পূর্বশর্ত।
সুতরাং আমাকে নিশ্চিহ্ন করে দাও
গুঁড়িয়ে যেতে পারি সানন্দে।
নিভু-নিভু সেঁজুতির আলোয় আমি দেখেছি-
গন্তব্য চুমু খাচ্ছে অমরত্বের স্তন।
অতঃপর কবিয়ানা
শিশ্নের ডগায় আর যোনিদ্বারে সততার কীট মিলিত হয়...
শুদ্ধতার আরেক রূপ বেশুমার ঠকে যাওয়া মানুষ চিনে।
মরে গেলে শবদেহে কনডম নয়
কাফন পড়তে হয়...
শুদ্ধতার আরেক রূপ বেশুমার ঠকে যাওয়া মানুষ চিনে।
মরে গেলে শবদেহে কনডম নয়
কাফন পড়তে হয়...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন