তানজিন তামান্না
ধানসিড়ি
শীতকে ভেংচি কেটে ফিরবে কাঠগোলাপ। পুরাতন লাইব্রেরীর ধুলো থেকে উদ্ধার হবে প্রিয় কোনো বই। উটকো লোকের ফিসফিসানি, চোখ বাঁকানীকে উপেক্ষা করে কবিতা লিখবে খোলা মাঠ...
সত্যি শেষ হবে পরাধীন, প্রশ্নবিদ্ধ এ সময়?
...তবু অবরোধের একটু ফাঁকে স্বপ্ন কুড়োচ্ছিল দেবদারুর ছায়া। ঠিক তার মাথার ওপর দু’টো চিলছানা নিচ্ছিল ছোঁবিদ্যায় হাতেখড়ি।
আবার কি ব্যবচ্ছেদ হবে কলমিলতার সন্তানদের! আপনি কোথায় ফিরবেন ধানসিড়ির
ছেলে?
নীল শো-পিচ
বাদামী থাইগ্লাসে বদলায় প্রতিবিম্বের রঙ
সাদা, মেরুন টয়োটার চাকায় ছুটছে রোদের প্রলেপ
জলমঞ্চে নেচেছিল যে অপরাজিতা
সে এখন ড্রয়িংরুমের নীল শো-পিচ
ফেলে এসে পায়ে হাঁটা জীবন নদীর কাছে
নীল ছাদকে আকাশ ভেবে ভুল হয়
চন্দানুভব
...প্রতিসন্ধ্যায় শিমক্ষেতকে ভালোবেসে
গোলাপী শিমক্ষেতের নিচে হোঁচট খায় সন্ধ্যা। চন্দনাকে ধরতে হুমড়ি খাচ্ছে ছাইপাশেরা। এইসব ভীমরতি চাখতে চাখতে, হাওয়া-পাল্টাহাওয়া গিলতে গিলতে টা….ন টান খপ্পরবাজী।
রাসায়নিক হয়ে উঠছে শিমফুলের প্রেমিক পতঙ্গ
কাল হয়ে ফেঁসে ফেঁসে যায় আলো-অন্ধকার
গৃহবন্দী
প্রেম-অপ্রেমের
বিছানা
ব্যস্ত হয়ে যায়
সন্ধ্যা
আড্ডা হয় আকাশের
মাঠে
একটা
মাইগ্র্যান্ট ফুলের সাথে গল্প
তার ছিল
ঝুলবারান্দা
স্নানের ঠান্ডা
দুপুর
মল্লিকারা ঝরে
গেছে
সে এখন শহরে
গতরের দামে
বিক্রি করে বকুল
অ্যাবরশনের
দীর্ঘশ্বাস জেগে থাকে
প্রেম-অপ্রেমের
বিছানায়
চায়ের কাপে
অভিমানী মন
আকাশে হেলান দিয়ে
মেঘ
কদম ফুটতে বাকি
বর্ষা ষোলকলা
পূর্ণ করে লিখবে দিনলিপি
“মনপাখি আসবে
একদিন, আসবে না কোনোদিন”
আর এইসব অভিমানী
অপেক্ষা ভুল জেনেও
ঘুম না আসা
অভ্যেস হয়ে যায়
একদিন এভাবে
বৃষ্টি থেমে যাবে
কদমরেণুতে আসে
গোপন চুমু
একদল নীলমেঘ
ক্রমশ খয়েরী হতে থাকে
ঘুরে ঘুরে উড়ে
যায় ঘুড়িবালকের মন
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন