প্রোটোকল
হাজার ওয়াটের নীরবতা জ্বলছে
নাইটল্যাম্প রাঙানো চিলেকোঠার হাওয়ায়
ঋজু মেরুদন্ডের প্রাণায়াম,
ছোপ লাগা বেকার দেওয়াল থেকে
কার্ল মার্ক্সের মুখে অপলক
তাকিয়ে থাকে পরিমিত নিঃশ্বাস
ঝুল জমা ঘুলঘুলির তলপেট নিচে
চাঁদপোকার খামখেয়াল শুনে যায়
পাথুরে টিকটিকির চাহনি,
কুচো কুচো ঝাপটানির অনুরণন শুঁষে
খসখসে ঢালাইয়ের কানাগলিতে
জ্বলছে হাজার ওয়াটের নীরবতা
রক্তমশাল
উত্তাল মেঘমালার আবলুস জটাভার
পাক খাওয়া ঘূর্ণিস্রোতে
বয়ে যাওয়া ভৈরবীর কালো জল
নীলকুঠির পাঁজরভাঙা বটের শিকড় দূরে
কেঁপে ওঠে বিদ্যুতের ঝিলিক
উন্মাদ ঘাসের শিরশিরে শরীরে
জরাজীর্ণ ভাসা কীর্তনগান
দমকা রণরোষে টিমটিমে ফুরোয়
ধ্বংসের গন্ধমাঝে একাকী রাত
ছিঁড়ে চলে ঘৃণার কালো বাঁধন
উসকো-খুসকো চুলের শীর্ণ হাত
আনমনা উদাসে কাঁচাপাকা কিছু
রসাতলের ওপর বিড়ির হাড়গুঁড়ো
মেশে কলকের গহ্বর পুড়িয়ে
বিকলাঙ্গ সমাজের ঘনঘোর টালমাটাল
দেশলাইয়ের একমাত্র ঋজু পরশে
দমকা ধোঁয়ার আগাছা ফুঁড়ে
দুটো লালমাখা চোখ তাকায়
মূক বিস্ময়ের পাতালপুরী চেতনে
‘বিপ্লবের রক্তমশাল তোমায় দিলাম’
ক্রাচ
নদী বয়ে যায় থ্রি-জি স্পিডে,
খাওয়ার আগে ওষুধের মতো
জলের ধর্মে জল ঢেলে।
দেওয়ালের কনভয় বেয়ে
ভাবুক ধোঁয়ার হরোস্কোপে চিন্তা,
প্রবাসীরা কেমন স্বাধীন আকাশে!
লতানো শব্দের মেরুঅন্ড
গ্যাংনাম নাচের তালে তালে,
মুখে পরিযায়ী বুলবুলি।
তবুও চে যখন ইমেজের ময়দান,
কখনো বাকপটু কখনো ফাঁকপটু
আঁতেলিয়ানাই হ্যালোজেনের ধারক ও বাহক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন