বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৪

১০) সানাউল্লাহ সাগর

দৃশ্যে-অদৃশ্যে

তুমি কবিতার শরীর ছুঁয়ে বেঁচে আছ আমার শরীরে-
আমি ডাকলাম - তুমি ঘুমিয়ে আছ, পদ্মাপাড়-আলুপট্টি-নওদাপাড়া-
শাহমাখদুম কলেজ কোথাও তোমার ছায়া পর্যন্ত নেই।
ঘুমোলে কি ছায়া মুছে যায়!
ধূলির ঠোঁটে তোমার ঘ্রাণ লেগে আছে-
রাতের রতিমৈথুন শেষেও জেগে আছি-
বিলবোর্ডের আয়নায় মিহি রোদ খেলা করে
আর ময়ূর হাওয়া দাপিয়ে বেড়ায় মোহনার মিত্রদের।

অন্ধকার কিংবা জোছনা - রোদ কিংবা সুবহে সাদিক কোথায় থাকো তুমি?
আমার অকবিতার গোলায় যে কবিতার সংসার ছিল
তা তো ভ্রুণেই সাঁতার শিখেছে-
শুনেছি আসছে বছর ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেবে।

ভালো থেকো বরেন্দ্র ভূমির বৃক্ষ, পদ্মার মাছ,
আর চুরি যাওয়া কবিতা তুমিও ভালো থেকো দৃশ্যে-অদৃ্শ্যে-
ধৈর্য জুটলে ছুটির দিনে একটা তাবিজ পোস্ট কোরো-
স্বপ্নের বাহুটা বড্ড একা!



স্বপ্নায়ুর বিছানা


পদ্মার ঊরুতে চোখ রেখে হৃদয়ের হেঁসেল ঘুরে আসি
কোথায় গেল সরব শব্দমন্ত্র?
জোছনার ছায়ায় হাঁটতে গিয়ে দেখি
চাঁদের ঠোঁটে কেমন বিষাদ লেগে আছে।
সবই কেমন অস্পষ্ট লাগে লুকোচুরির চেস্টায়-
ক্লান্ত পায়ে আরও কতো পথ?
তাও নুয়ে পড়া ইচ্ছেরা জাগিয়ে রেখেছে পুরনো ফটোগ্রাফ...

পর্ণোহাসি আর সুরসন্ধ্যার সিথানে জমিয়ে রেখেছে ভিতু বাসনা-
পথ মাপার গল্পগুলো উড়িয়ে দেব নিঃসীম শূন্যতায়-
পথ চিনে চলে যাবে কাঁটাতারের ওপাড়ে...

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন