শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

১৫) মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়


কুসুমিত কলঙ্ক 

নারী হয়ে ওঠে ব্রজনারী
মাথুর গানে মন মজাতে কান পাতে;
তেপান্তরের মাঠ থেকে ভেসে আসে -
ফুল জড়ানো হাত ঈশ্বরের
তপ্ত হয় রাত গ্লানিময়তায়
লাল রঙ, ভাঙা চুরিতে সাজে দুর্বা
উল্কাপাত ঘটে যাওয়া জীবন আজ
থাকা না থাকার অস্তিত্বে 
               কুসুমিত কলঙ্ক

                       
বিচূর্ণ জীবন

চোরাগলির ঘর বাঁধা স্বপ্ন
পরস্পরের জীবাশ্ম আস্থা
জ্বলে ওঠে আগুন গোধূলির
আর বারুদের গন্ধে চুরি যায় ভাতের ভাপ
অজানায় মেশে চেনা প্রেম
ঠোঁটে লাগে কান্নার নুন
আধাঘুম কুয়াশার পারদে
ভোরের কাক ডাক দেয় বাসি বাসনে
কাচের বিচূর্ণে জীবন অভুক্ত কু-আশায়...


আকাশী ধর্ম
নদীর জলে স্নিগ্ধতার বর্ণ
জলকেলিতে দীর্ঘ স্নানের সুবাস;
আকাশের গায়ে দাগ লাগে আকাশী ধর্মের,
সময়ের আতস কাচ
প্রত্নযুগের আলো ফেলে মুখে
কুমকুমে সাজানো সীমন্ত
আর কপালে ভোরের ঘুম ভাঙা সূর্য
খোলা চুলে অঙ্কুরিত বীজের গল্প
চেতনায় ধূপ ধূনো প্রার্থনা
মেঘের ড়াউড়িতে ধ্যানস্থ পৃথিবী
আজ যেন প্রাণচ্ছ্বোল নতুন উদ্যোমে


ভালোবাসার আকুতি

ভালোবাসার আকুতি ঘন হয় চার দেওয়ালে
আকন্ঠ নিমজ্জিত তবুও ক্ষয়িষ্ণু হয়ে ওঠে
কোলে মুখ গুঁজে কান্নার গোঙানি
বিষণ্ন বালিশেই লেগে যায়
অপেক্ষাতুর শব্দগুলো দূষণ মাখে রাগে
অবুঝ মন সিগারেটের তামাকে আচ্ছন্ন
কাছে টানার আত্মচেতনা হারিয়ে দেয় আত্মীয়
অনুভূতির অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করে আলোকবর্ষের ক্ষত...


ঋতু বদল

কচুরিপানা আর পানিফলের লতায় সাজানো জলজ আসর
সেখানে বুনো উদাসীর হাওয়ায় বনকুলের সুগন্ধী,
ছায়ানীল কুয়াশা প্রবাসী হলে
রামধনুর ধুন আকাশের গানে
তালে তালে নেচে ওঠে বৃষ্টির রুপোলী নূপুর
ঝাড়া চুল উড়িয়ে সঙ্গতে কালবৈশাখী 
যোগসূত্রের খেলায় পশু পাখির 
ব্যস্ত ব্যাকুল চিত্ত;
চূর্ণ হয় পাথর অহেতুক মগ্ন কোলাহলে
সুগভীর দরদী মায়ায় আঁকড়ানো ঋতুর বদল

                           

1 টি মন্তব্য: