মুঠো ভর্তি নিঃশ্বাস থেকে তুলে রাখছি দু'একটি শ্বাস¾
আঙুলের ফাঁক গলে যা কিছু পড়ে যেতে পারে;
নিজেরই আঁকানো নদী, তবু গুছিয়ে নিচ্ছি হাঁটুজল
ঢেউ ও সাঁতার;
বিশ্বাসের অটুট তীর লোকে বলে অলক্ষ্যে খসে যায়¾
বিশ্বাসের অটুট তীর লোকে বলে অলক্ষ্যে খসে যায়¾
একটা জীবন, কত-না কাঠের ক্রন্দন মিশে যাচ্ছে
আলকাতরায়...
জীবনী
সম্পূর্ণ সরিষার ক্ষেতে একা যে বাদামগাছ, তারই কথা ভাবি।
জীবনী
সম্পূর্ণ সরিষার ক্ষেতে একা যে বাদামগাছ, তারই কথা ভাবি।
তোমাদের কোনো গ্রন্থেই যার জীবনী কোনো দিন স্থান পাবে না।
বনভোজনের নামে যত ছবি, উন্মাদনা- তার সব সরিষা ফুলের।
তোমাদের আপশোস, তোমাদের স্মৃতি-বিস্মৃতি জুড়ে তার কোনো চিহ্ন থাকবে না।
তবু উপলক্ষ্যহীন, শুশ্রূষাহীন সে দাঁড়িয়ে থাকলো, নির্ভার।
অপমৃত্যু যতদিন না-খোলে তার দ্বার...
অপমৃত্যু যতদিন না-খোলে তার দ্বার...
অনর্থ সমস্ত গল্পের একদিন জীবনী বেরোবে...
গরিমা
বর্ম নেই, মন্ত্র নেই – একটা জীবন গেল গোখরা সাপের পিছে ছুটে।
নানান ফুলের ছদ্মবেশে, বহু বৃক্ষের আগ্রহে দাঁড়িয়ে পড়ার
কত যে ইশারা ছিল, উৎসাহ ছিল!
বুঝিনি, আধপোড়া মোমগন্ধই ছড়ায় বেশি আলো ও উজ্জ্বলতার চেয়ে;
দুপুরের বৃষ্টি রাতের মতো অতটা উপভোগ্য নয়, স্মৃতিকাতর নয়...
মাছরাঙা হলে, নিশ্চিত এতদিনে ভেঙে যেত ঠোঁটের গরিমা...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন