শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

১৮) লক্ষ্মীকান্ত মন্ডল


প্রেমিক


এই তো সেদিন, গুলি খেল সে
রোদ উড়ে গেল তার বুকের কাছ দিয়ে
বাতাস হাত বোলালো বুকের আয়তনে
কালো কালো আবছায়া ক্ষুধাতুর খেয়াঘাট

মৃত্যু নয়, নামহীন নেশায় শিউরে ওঠে
                 
ধ্রুব ভালোবাসা

বেডসিড
নিম্নচাপে মাটি খুইয়েছে ত্বক
ক্ষুধার্ত স্পর্শেরা মাঠের আলপথ থেকে নেমে
আসে শরীরের খাঁজে, সাঁতারে বসিয়ে দেয় দৌড়
চিনতে থাকে চিবুক, ফোঁটা ফোঁটা জলে
চান করে হাঁসের পালক
দ্রাঘিমার গাছের পাতায় ফুটে ওঠে চিঠির অক্ষর

বেরিয়ে পড়া অবাঞ্ছিত হেরিটেজ কাঁপতে থাকে
                         
লজ্জায়


কিংবা ব্যর্থ

দুপুর এলেই স্নানের ষোড়শে আসে গ্রাম
দূরে দূরে ছায়া সপসপে তেষ্টা নিয়ে মাটি বুক
এগোতে থাকে দেহ মন ছোঁয়ার অনুভবে, ভাতের গন্ধ
আবিষ্কারের নেশা এগিয়ে যায় মন্ত্রের দেশ ছেড়ে

মাথার পর সূর্য তাকিয়ে থাকে বহুদিনের টুসুগানে
উড়ে চলে প্রতিটি প্রজাপতি, জলখেলার স্বাধীন উপকরণ
সারা শরীরে পাখনা জুড়ে দেয়
সার্থক কিংবা ব্যর্থতার পাশাপাশি জল খেলতে থাকে
গভীর নাভির কথাদের সাথে, আর পিঁপড়েরা
ভাসতে ভাসতে এগিয়ে যায় ডাঙার দিকে--


উত্তরাখণ্ড
অন্ধকারকে চুম্বনের প্রার্থনা করলেই নড়েচড়ে বসে
বাতাসের দেহতত্ব। ঝোপের ঝিঁঝিঁরা নির্জনতা চিরে
পথে এসে দাঁড়ায়, ভেঙে পড়া হরপ্পা জেগে ওঠে
ধানি জমির দুপুরে। তবু চোখ বন্ধ করে অন্ধকার ছুঁয়ে
থাকি; ঘুম ভাঙিয়ে পায়ে পায়ে এসে বসি জানালায়,
রাজা থেকে রানী যে যার মতো শুয়ে আছে ঢালাও
কেউ বা স্বপ্নে কেউ বা যৌনবাগানে

যেখানে পাখিদের অবিরাম গতি ঠোটঁ বাড়াই
চেতনার কালো আকাশ, শূন্যতার গভীরে জন্ম নেয়
আলপথের সবুজ পাতা, আর জ্যোত্‍স্নার ইঙ্গিতে
পুকুরের জলে ভাসে আগামী জন্ম তিথির কল্লোল
আর আমি হয়ে যাই আকাশ
ক্রমশ--        

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন