শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

১০) তানিয়া চক্রবর্তী


ইস্তেহার


এক ভিখারি প্রেমের উন্মাদ প্রেমিকা করে রেখেছ
কাঠের ঘর্ষণে যে তাপ ছিল পাথরও বোঝেনি তা
পাঁচ আঙুলের কিলবিল শ্রমে
কোনো শরীরী আধিপত্য বাঁচে না
এক ভিখারি প্রেমের ত্রস্ত প্রেমিকা করে রেখেছ আমায়
এখন ভিড়ের বাতাস জোড়া গোলাপের লিঙ্গ চেনায়
আহ্বানকারীরা বিবস্ত্র বলে
পায়ে উদ্ধৃতি দিই সূর্যস্নানের
কেউ রহিত হলে কেউ চলমান হয়
দীর্ঘ ও দামি হয়ে ওঠো
কোনো এক অজানা শ্রম
আঙুর গাছের স্বাদ হয়ে বসে আছে
আর শুকনো অস্তিত্বের আশায়
আসলকে উপমা বলে কাটিয়ে দিলে
এখন যাবার সময় দরজার উচ্চতা মাপি
যার আর পর নেই কোনো
শুধু অন্তিমে পরাগরেণু, আকাশের বাঁচা
দেহগহ্বর জুড়ে ছদ্মের বার্তা
ইচ্ছা হয় হারানো ভিখারির প্রেমের নামে
মৃত্যুকে রাখি বন্ধক
জোড়া গোলাপ আর পারফিউম ব্যাপ্ত দুপুরে
আকাশের সঙ্গে মিশে যাক প্রেমহীন শবদেহের রং
এ ইস্তেহার রহস্য থেকে মায়ায় আসুক নেমে...


একটি মেয়ের পৃষ্ঠটান
একটি মেয়ের পৃষ্ঠটান
নাভির তলায় বাঁচবে বলে
পাঁক ধরেই শিকল বাঁচায়
নাক বেয়ে শিল-পাটায় আগুন নামে
রান্না করো, চলভাষে রেকর্ড হোক নান্দনিক
তোমার পুরুষ হাসতে জানে, গাইতে জানে
আরো জানে রোদ পোহাতে
খরা দেখে যারা এখন সূত্র শেখে
তাদের ঘরে সান্দ্রতারা সিঁদুর বাঁচায়
চুলের তলায় সিঁদুর বাঁচায়
একটি মেয়ের হাতব্যাগেতে স্প্রে থাকে
ছুরির নিচেই ভয় রাখে
বিপদকালীন বৈদ্যুতিন আদেখলা সব ছবি রাখে
একটি মেয়ের পৃষ্ঠটানে
পোশাকই এখন বাহানা হয়
যারা যারা রোদ পোহায়
তাদের কাছেই আঁধার থাকে
আঁধার বেলায় আগুন জ্বলে
মশার যেমন নিম্ন শরীর
শরীর দোষেই জলের বুকে আটকে যায়
তেমন করেই একটি মেয়ের পৃষ্ঠটান
নারী নামের বাহক হয়
নীল আগুনে খবর ছাপে...


শুধুই দেখা
অনেক যখন মৃত্যু দেখি
আমার তখন বেশ লাগে
মানুষ কেমন খামচাখামচি
মানুষ কেমন বাঁচিয়ে বেড়ায়
মানুষ কেমন সিদ্ধ হয়
সেই মানুষই আলগা খাটে জবুথবু
অনেক যখন শৈশবেদের হারিয়েছিলাম
ছাদের বুকে রোদের ঘায়ে
পায়ের তলায় কাচ হাসল
বাতাস আমায় বোকা ভাবল
কেউ যে তখন চলে গেলে
বুঝেও আমি ইতরবাচক
এ কোল থেকে ও কোল হয়ে
রোহিণী হতে শিখে গেলাম
এখন মাটির কাছে এক পুরুষের স্বপ্ন দেখি
স্বপ্ন খুঁড়ে অ্যাসিডবাল্ব -- রাজপুত্তুর অ্যাসিডবাচক
আমার জন্য কালো গোলাপ
বাগান থেকে আলো শোষে--

 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন