স্বপ্নচক্র
স্বপ্নের
গন্তব্য অর্থহীন নয় অন্তহীন, নীলকণ্ঠের নীলাঞ্জনে উন্মুকতা;
বাদ্যযন্ত্র
নিঙড়ে তুলে আনা বিয়োগের মাতোম, সুরের সাম্পান
কিংবা
ভোরবেলার প্রসূতির কুয়াশাকেন্দ্রিক সিকুয়াল, প্রায় রোদের
ছায়া
লুকানোর ছলে স্বেচ্ছায় নিজেই দৌড়ে পালানো রাত্রির কাছে;
ভেবে
রাখা দরজার ওপারের চিত্রের কাছে গুটিয়ে বসে থাকা।
বিকেলের
জলপাই গাছও পাতা ঝরিয়ে শীতকে উসকোখুসকো উষ্ণ
বিদায়
জানায় অপ্রকাশিত পায়রার গারদের থেকে উড়ে যাওয়া স্বপ্ন
দিয়ে,
পাথরকুচির পাতারা পুনর্জন্মে বিশ্বাস না করে বারবার জন্ম
নেয়,
জন্ম নিতে থাকে শুধু কি শেকড়ের সন্ধানে না বন্ধনে, নাকি
শুরু
করে প্রথম থেকে আরেকটি নতুন জলপাই রঙের জীবনচক্র…
এই পৌষালি
(মহানায়িকার প্রয়াণে)
পৌষালি
রাতের শীত, সন্ধ্যার শিশির পড়া শব্দের দাগ রেখে গেছে
রেখে
গেছে গাছের কাছে গোপনকথার ভাস্কর লুকিয়ে। নতুন খেয়াল
পুরনো
খেয়ালের মতো নয়। সে শুধু হারিয়ে যায় না রেখে যায়
মায়া।
হয়তো ক’দিন পরের মকর সংক্রান্তিতে পুণ্যস্নানে
যেতে চায়
সুচিত্রার
সাথে। কুয়াশা আর ধোঁয়াশার ভিতর হারানো প্রেম খুঁজে
বেড়ানোর
বদলে একটা শীতঘুমের অর্ঘ্য দিয়ে মনোবিহারীনির প্রস্থান।
তবু
খুঁজতে থাকি নিজের মনে নিজে যেমন বিহার করি ঘুমের ভিতর;
অন্তরাল
থেকে হঠাৎ হাওয়ার তোড়ে পাল্টে যাচ্ছে মন আর ভাবনার
যত অমিল
পূর্ণস্রোত। কারো প্রতি
মুগ্ধ আর লুব্ধ হলেই জন্মে প্রেম;
মনের
প্রতি প্রেম
আর কিছুই না এক ধরনের মায়া, লুব্ধকতার মোহটান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন