বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৪

১০) অতনু বন্দ্যোপাধ্যায়

মেজাজ


বীক্ষণে রূপ তার মনখারাপের বিষারদ হয়ে উঠলো। এই পাড়া
এই সন্ধ্যাকাল
এযাবৎ আলোর পরেও ছাদেরই বন্ধু হয়ে আছে।

মুখোমুখি সামান্য উঠে আসা তনু নিয়ে
ক্রিস্টাল ভেঙে দিচ্ছে মনি খেলতে খেলতে। আর একটা স্নান তখন
ল্যাপটপের বারান্দায় লিখছে

প্রথম পুরুষ
উত্তম পুরুষ
কিম্‌বা

এই লিপিকারের একটু আগে কোনো ভাষার তোয়াক্কায় ফোটা আবিষ্কার।

কোথাও ঠিক লেখা ছিল কফি। ছিল পুজোর গন্ধে সেই রেখে আসা মেজাজ।
চুমুকের দীর্ঘ অধ্যায়ে।

পাখিরা জানালা পেড়ে নিতে এলো।
প্রজাপতিরাও রং বসাতে শেষের শহরে।

তুমি আশ্চর্য নির্মাণে বেঁধে নিচ্ছো বিপরীত। পৌঁছোনো প্রকাশ।

আমাদের পাড়া শেষ হলো। ছবি শেষ হলো। এবার ওপেন নামছে চিঠির সারাংশে...

সে হাসছে। তুমিও। হাসতে হাসতে পর্দায় দুলছে বাতাস।

দুলতে দুলতে বনাঞ্চলে নিষিদ্ধ করছে শুরুর ঈশ্বর।

২টি মন্তব্য:

  1. 'হাসতে হাসতে পর্দায় দুলছে বাতাস' এটা চিত্ররূপ নয়, এটা রূপচিত্র। আগে ভাবা তার পরে দেখার উল্লেখ। অতনু অসাধারণ লিখেছিস কবিতাটা।

    উত্তরমুছুন