রাত এখন শেষের দিকে
ভোর হতে এখনও অনেক দেরি
এসির ঠাণ্ডা বাতাস ঘরটাকে ভরিয়ে তুলেছে
এপাশ হতে ওপাশ
ওপাশ হতে এপাশ
সেকেণ্ড পরিণত হয়েছে ঘণ্টায়
দূরে সারমেয়র চিৎকার
ঘরের দরজা খুললেই পথ
রিকশা, গাড়ি, মানুষ
তুমি দরজা খুলতে পারছো না
রাত এখন শেষের দিকে
ভোর তোমাকে ডাকছে
তুমি তবু দরজা খুলতে পারছো না
তুমি এক হ্যালিলুয়া হ্যালিলুয়া
ভ্যান গগের সোনালি গমখেত
মন খারাপেরও শেষ আছে
যে বনে বাঘ নেই
বেজি আছে, ময়ূর আছে।
প্রতি প্রশ্নের উত্তরে
তুমি জবাব দাও ঋণাত্মক
উল্টো করে বললেও মানে দাঁড়ায় একই।
ভালোবাসবার জন্য অপেক্ষা করছে
একঝাঁক শ্বেত কপোত
নারকেলের সোনালি ফুল
বৃষ্টির পরের ঘাস ফরিঙেরা
অথচ তোমার মনে এক তেতো স্বাদ,
পার্লারে চুল কাটতে গেলে
পোশাক খুলে দাঁড়াতে ইচ্ছে করে আয়নার সামনে
মুখোমুখি তুমি আর তোমার অপর
পরষ্পরকে কিছুই বলো না
দেখবার স্বাদ উবে গেছে,
চায়ের কাপে চুমুক দিতেই
প্রেমিকের উষ্ণ ঠোঁট ভাসতে থাকে লেকের জলে
কাঁচি ছুরির মাঝখানে পড়ে নিপুণ হয়ে ওঠো দর্শকের চোখে
তুমিও দর্শক এক
দেখছো এপারটা
ওপারে ভ্যান গগের সোনালি গমখেত।
কোনো বৃষ্টি তোমাকে ছোঁবে না
নির্জন ছাদে সবেদা গাছ আছে, বৃষ্টি আছে
দূরে দোলনচাঁপার শুভ্র উদ্ভাসন-
কোলাহল থেকে তুমি বেশ দূরে
গাড়ির হর্ণ থেকে, মোবাইলের রিংটোন থেকে
অনেকটা দূরে...
পানপাতারা লেবুগাছ বেয়ে উঠে গেছে
সবুজ নেটে ঢাকা ছাদের নির্জনতায়
তুমি এক দর্শক।
বৃষ্টি হচ্ছে ঝমঝমিয়ে
মেঘ ডাকছে,
খুব দূরে সাইরেনের শব্দ
সবই বাস্তব শোনা যাচ্ছে দেখা যাচ্ছে
চাইলে স্বাদও নিতে পারছো
কিন্তু তোমার নিজের কোনো অনুভূতি নেই যেন
একটা মরা ডালের মতো চেয়ারের সাথে লেপ্টে আছো
স্মৃতি নেই বিম্মৃতি নেই
বৃষ্টি ঝরছে অবিরাম
ঘরে ফেরার তাড়া নেই
নেই অপেক্ষায় কেউ
বহু বছর ধরে একটা অপচনশীল কার্বনে পরিণত হয়েছো
তোমাকে খুঁড়ে কালো কালো কার্বন,
তারও ভেতরে আলোকদ্যূতি
তুমি হীরা হতে পারো, গ্রাফাইট
ধনকুবের স্ত্রীর গলার নেকলেস
কোনো বৃষ্টি তোমাকে ছোঁবে না
কোনো বৃষ্টি তোমার নয়
তুমি বৃষ্টির অতীত।
ভোর হতে এখনও অনেক দেরি
এসির ঠাণ্ডা বাতাস ঘরটাকে ভরিয়ে তুলেছে
এপাশ হতে ওপাশ
ওপাশ হতে এপাশ
সেকেণ্ড পরিণত হয়েছে ঘণ্টায়
দূরে সারমেয়র চিৎকার
ঘরের দরজা খুললেই পথ
রিকশা, গাড়ি, মানুষ
তুমি দরজা খুলতে পারছো না
রাত এখন শেষের দিকে
ভোর তোমাকে ডাকছে
তুমি তবু দরজা খুলতে পারছো না
তুমি এক হ্যালিলুয়া হ্যালিলুয়া
ভ্যান গগের সোনালি গমখেত
মন খারাপেরও শেষ আছে
যে বনে বাঘ নেই
বেজি আছে, ময়ূর আছে।
প্রতি প্রশ্নের উত্তরে
তুমি জবাব দাও ঋণাত্মক
উল্টো করে বললেও মানে দাঁড়ায় একই।
ভালোবাসবার জন্য অপেক্ষা করছে
একঝাঁক শ্বেত কপোত
নারকেলের সোনালি ফুল
বৃষ্টির পরের ঘাস ফরিঙেরা
অথচ তোমার মনে এক তেতো স্বাদ,
পার্লারে চুল কাটতে গেলে
পোশাক খুলে দাঁড়াতে ইচ্ছে করে আয়নার সামনে
মুখোমুখি তুমি আর তোমার অপর
পরষ্পরকে কিছুই বলো না
দেখবার স্বাদ উবে গেছে,
চায়ের কাপে চুমুক দিতেই
প্রেমিকের উষ্ণ ঠোঁট ভাসতে থাকে লেকের জলে
কাঁচি ছুরির মাঝখানে পড়ে নিপুণ হয়ে ওঠো দর্শকের চোখে
তুমিও দর্শক এক
দেখছো এপারটা
ওপারে ভ্যান গগের সোনালি গমখেত।
কোনো বৃষ্টি তোমাকে ছোঁবে না
নির্জন ছাদে সবেদা গাছ আছে, বৃষ্টি আছে
দূরে দোলনচাঁপার শুভ্র উদ্ভাসন-
কোলাহল থেকে তুমি বেশ দূরে
গাড়ির হর্ণ থেকে, মোবাইলের রিংটোন থেকে
অনেকটা দূরে...
পানপাতারা লেবুগাছ বেয়ে উঠে গেছে
সবুজ নেটে ঢাকা ছাদের নির্জনতায়
তুমি এক দর্শক।
বৃষ্টি হচ্ছে ঝমঝমিয়ে
মেঘ ডাকছে,
খুব দূরে সাইরেনের শব্দ
সবই বাস্তব শোনা যাচ্ছে দেখা যাচ্ছে
চাইলে স্বাদও নিতে পারছো
কিন্তু তোমার নিজের কোনো অনুভূতি নেই যেন
একটা মরা ডালের মতো চেয়ারের সাথে লেপ্টে আছো
স্মৃতি নেই বিম্মৃতি নেই
বৃষ্টি ঝরছে অবিরাম
ঘরে ফেরার তাড়া নেই
নেই অপেক্ষায় কেউ
বহু বছর ধরে একটা অপচনশীল কার্বনে পরিণত হয়েছো
তোমাকে খুঁড়ে কালো কালো কার্বন,
তারও ভেতরে আলোকদ্যূতি
তুমি হীরা হতে পারো, গ্রাফাইট
ধনকুবের স্ত্রীর গলার নেকলেস
কোনো বৃষ্টি তোমাকে ছোঁবে না
কোনো বৃষ্টি তোমার নয়
তুমি বৃষ্টির অতীত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন