বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৪

১৮) বসন্ত বসু

করাত মেইল

তারপর শব্দ এসে পুড়িয়ে দিতে পারে
তোমাকে, অপর্যাপ্ত বিকেল আর ঈশ্বরকে

তারপর শব্দ এসে বলতে পারে
চুম্বনের মতো বর্ণহীণ ঘাতক হলেন ঈশ্বর,

তার জন্যে আমি রোদ জমাই
অনুমতির অপেক্ষারত প্রার্থনা
ইচ্ছে করে ছড়িয়ে দিই তাকে উষ্ণচিঠিভরা
খামের শীতার্ত, অপর্যাপ্ত নামে!

চৈত্র সংক্রান্তিতে চুম্বনের দাবিতে দাঁড়িয়েছি মুখোমুখি
জলপাই রংয়ের কবুতর আর
অনেক অনেক নষ্ট লাল

ভিড়ানো নাওয়ে ছইয়ের আছড়ে থাকুক এসব
লিগামেন্টছেঁড়া কবিতা-মিছিল-আঁধার

ভাঙা চেয়ারের হাতলে ঠেস দিয়ে
শব্দ এসে বলে দিতে পারে

তোমার নাম ঈশ্বর


খোকা, বাড়ি যাবে

অথবা ছোট ছোট কিছু গল্পের প্লট খুঁজতে খুঁজতে হাজির হয়ে যেতে পারি বর্ষামুখী শাস্ত্রের কোনো সকালে। এই সহজ কাটার মানে এমন যে মন্দিরে দাঁড়িয়ে যাওয়াকে অবজ্ঞা করা-; সাহস লাগে? নাহ! কিছুটা শেকল পরার প্রতিযোগিতায় স্পষ্ট, সকাল বেলার ঘুমের মতো- শতাব্দীর জন্যে, আরও নতুনের আগমনের নিঝুম পোশাকে বিস্মিত মুখের খাম এসে পৌছোয় ডাকের অন্ধকার ঝিঁঝিঁ পাড়ায়... বিহ্বল!

বরাবরের মতো আবিষ্কারের ম্তো সংবেদনশীল খেয়াল মনোলোক জুড়ে আদিখ্যেতা করে; একজন দুঃখ এবং একটি দুঃখী তীব্র চুলের ভিজে কাচের পিঠে মনোলোক- চোখে মুখে অন্তরালে বেজেই চলেছে, লাফালাফি।

কোনো এক বাঁকা চাঁদের মতো সকালের কথা মনে করিয়ে দিয়ে ফেরত যাবার রাস্তার মৃত্যু ঘটে- সূর্যমুখীর প্রথাই হয়তো এই। নষ্ট করার মতো সময় না থাকলেও মেঘ কেটে যাবার অভিনয় করে যায় সব্বাই...

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন