বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৪

১৯) অরুন্ধতী চট্টোপাধ্যায়

বর্ণহীন

মানবী কখন কার কাছে যে ঈশ্বরী,
শুভবোধে দোল খায় বর্ণহীন প্রশ্বাস
মুহূর্তে বদলে যায় ঝিমধরা বিস্তার
                         গোপন করে যন্ত্রণা চাতুরী
ষোল আনার হিসেবে এক আনা রাখো
                         বুকের মাঝখানে
শেষেরটা মোরগ জাদুগরের ধুলোখেলায়
চোখের হাসিতে শুষে নাও খন্ডহর-দম্ভ
তোমার বাইপাস জুড়ে শব্দহীন হাওয়ারা
                         আজ সবাই ভিখারি
ঝনঝন বেজে ওঠে যত ব্রক্ষ্মচারী গাছ
কিছু আকাশ গ্রেপ্তার হয় অহঙ্কারী আদলে
হাই ওঠে, জড়তা কাটে আবার পাশ ফেরে
                         মেঘহীন শ্রাবণে।


মৌখিক

পরিচিত সুরে আসর জমে ওঠে
বিদেশী পাড়ায় দিন শুরু হয় নীলে, সবুজে
                         মেহগনি শীর্ষেও
রোদে, রঙে, মায়ায় কেঁপে ওঠে চীন সাগর
সেইসব রূঢ় রোদ যারা রোশনাই ফেলেছিল শিশিরে
যারা শিখিয়েছিল সফল হতে
তারাই আড়াল থেকে আড়াল করে হলুদ বাতাস
                         শব্দের মৌতাতে –
এখন রোদ থেকে আমার দূরত্ব তিন ফুটের
ওপারে চওড়া কাঠের বারান্দা, কালো রেলিং
অর্কিড ঝোলা পাম দু’হাত বাড়িয়ে আনে কত ভালোবাসায়,
                         নতুন পরিজনে, ধনে।
চীন সাগর শুধুই খেলে ফ্লেমিংগোর ডানায়,
                         ভেজে না –
নির্ভুল হিসেবে কোথাও নেই এতটুকু অপূর্ণতা
শস্য বোঝাই এ কলম, তবু আঁচড়ের আলসেমি
                         এইভাবে আরও কিছুদিন যাক্‌ –

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন