গনিতে ভীষণ কাঁচা আমি! ...
গণিতে ভীষণ কাঁচা!
তবু
কী অবলীলায় বুঝে ফেলি চাহনির অনুপাত,
কত সমকোণ!...
জানালাটি
কতো ডিগ্রি এঙ্গেলে ঝুঁকে আছে জানালাটির দিকে,...
মুষলধারায় বৃষ্টি হচ্ছে। বর্ষার নন্দনে।...
যদি
একটি জানালা থাকতো।
তবে
দেখতে পেতাম আরও জানালা,
জেগে আছে, দৃষ্টির দূরত্বে।...
খুব দূরে নয়,
আবার দূরও আছে এবং দৌড়ও আছে।...
সম্পর্কপ্রাসাদে
মিতালিপ্রবণে পায়ে পায়ে ভাঙি
সিঁড়ি
বুঝে ফেলি
মাটির নৈকট্য ছেড়ে
নিচ থেকে
ওপরে উঠার ভার
যেন
কাছের মানুষ ছেঁড়ে দূরে যাওয়ার বেদনা!...
অথবা
ওপর থেকে
নিচে
মাটির নৈকট্যে ফেরার ভারহীনতা
যেন
কাছের মানুষে
কাছের মানুষের কাছে ফেরার আনন্দ!...
এসবের
মধ্য আকর্ষমূল্য = এক!...
পৃথিবীর পাঠশালায় প্রকৃতিস্য ছাত্র আমি,
জীবনের প্রতিটি পাতায়, ফলাফল = শূন্য!
তবু
কী অবলীলায় বুঝে ফেলি, শূন্যের ভরত্বে লুক্কায়িত সংখ্যার লীলা —
যাহা শূন্য
তাহা এক কিংবা অধিক...
মনিকাঞ্চনযোগীনি জানে,
১+১+১+১+১+১+১+১+১ = ১!
অথবা ১+২+৩+৪+৫+৬+৭+৮+৯ = ১!
একাধিপত্যের
কেন্দ্রে
শীর্ষ
বিন্দুটির মনে
বৃত্তের জ্যামিতি পাড়ি দিয়ে বৃত্তে আছে ভুবনডাঙার
জয়মাল্য!...
অথচ
গণিতে ভীষণ কাঁচা আমি...
শারীরিক
জেনেছে পৃথিবী, মাটির শরীরে জমেছে যে মনজল!
মনজল,
ছোঁয়ালো শরীর পিপাসায়। ভালোবেসে শারীরিক
ললিতকলার উপাচার,
চুষে মনজল,
করছি রচনা, মাটির ধরায় সবুজ সদন!...
সবুজসদনে
ফিরছি আমিই —
মনজল,
ছোঁয়ালো শরীর পিপাসায়। ভালোবেসে শারীরিক
ললিতকলার উপাচার,
চুষে মনজল,
করছি রচনা, মাটির ধরায় সবুজ সদন!...
সবুজসদনে
ফিরছি আমিই —
বৃক্ষ > ফুল
> ফল > বীজ > চারা > বৃক্ষ >
রূপের মাধুরী মম!
শরীরবিহীন,
কেন যে খুলেছো চোখ?
এই আমিই শরীরী এই আমিই যে মন!
খোঁজ না আমাকে,
শরীরের বাহিরে ও মনের বাহিরে।
বন্ধু,
শরীরবিহীন,
কেন যে খুলেছো চোখ?
এই আমিই শরীরী এই আমিই যে মন!
খোঁজ না আমাকে,
শরীরের বাহিরে ও মনের বাহিরে।
বন্ধু,
শরীরনগরে এসো, মনযানে চড়ে।
অথবা,
মননগরে এসো, শরীরযানে চড়ে। শরীর ও মন, আমি ছাড়া
তুমি নেই,
তুমি ছাড়া আমি নেই!...
অথবা,
মননগরে এসো, শরীরযানে চড়ে। শরীর ও মন, আমি ছাড়া
তুমি নেই,
তুমি ছাড়া আমি নেই!...
সমীক্ষা! ...
বলেছে ক্যমরা!
মনটা
ঝাপসা সত্য হে
কোথাও নেই কো ফাঁকি
পড়িয়াছে ধরা দৃশ্যের কাজলে
কুয়াশায়!...
হিমেল বাতাসে ভেজা
ঝাপসা ঝাপসা
ছবিটির
আধফোঁটা পটভূমে!...
কুয়াশাসমগ্র পাঠ শেষে যাবো
হৃদয়ে রেখেছি পুষে নিদ্রিত বসন্তের অভিমান
পথের ধুলিরা জানে
চরণের ইতিহাস
কুয়াশায় মাখামাখি ধুলিকথার কাহিনী!...
আহা
কলাময়
খোসার সত্যটি খুলে পাবো ভেতর সত্যটি,...
পর্বে পর্বে
রেখেছে আড়াল
রূপের বিভঙ্গ!...
কলাকৈবল্যের জানালায় টোকা দেয়
জীবন সমীক্ষা!...
রাওলের চিঠি। প্রাপক, এজাজ ইউসুফী।
নাম আমার রাওল,
মাতা চন্দ্রকলা, বাবা সূর্যদেব।
আসন্ন সকাল। পাতায় পাতায় রঙ দেখে সহাস্যে
বলতে পারি, তিন সত্যি! ঘাড়ের
গামছা হারিয়ে ফেলেছি ঘাসের গালিচা ঢাকা
মেঠোপথে, কুড়িয়ে নিয়েছে পরানহরা
কিশোরী, নাম
হালামালা, ললিতকলা ও যৌগিক আবাদে মাটির জননদেশ থেকে
উঠে আসা প্রান্তিক ফাল্গুনী।
তার
অপরূপা দেশের নামটি কাজলাসবুজ
খুকির চেয়ে একটু অবুঝ
সখিসম স্নিগ্ধ শ্যামা হৃদয়কথা দৃষ্টিনন্দন
লাজুকলতা।...
অধুনা আমাকে কাছে টানে তার নাকফুল, অর্থাৎ শ্রমের শোভা!
যাকে আলতো টোকায় ছুঁয়ে দেখা যায়, বলা যায়:
গো,
ইষ্টিকুটুম পাখি, মনিকাঞ্চনযোগিনী,
আমাকে কি তুমি কিনে নিতে পারো? বিনিময় দিয়ে নাকফুল!
অকাল বোধনে ভালোবেসে যৌগযাতনার সামগান, মাটির মরম অভিঘাতে পাবো তাকে আগামী বর্ষায়। সাক্ষী থেকো!...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন