সেদিন একা
সেদিন ভাবছিলাম
তোমার কাছে যাব ---
যাওয়া হলো না,
বড্ড কুঁড়েমি লাগল;
চুপচাপ বসে বসে
দেখলাম,
শীতের কুয়াশা
ভারি হয়ে জমেছে
মাঠের ওপারে ---
সন্ধ্যার অন্ধকার
টেনে নিচ্ছে ধূসর চাদর।
তখন ঘাসের ভিতর থেকে
উঠে আসছিল হেমন্তের পরিচিত গন্ধ,
বেদনায় আর্দ্র ---
আর শিমুলের আগায়
লেগেছিল পড়ন্ত
বিকেলের আলতো চুমো।
আমি উঠলাম, ঘুরলাম
এদিক ওদিক,
তারপর, টেনে নিলাম
খাতা ---
লিখতে লাগলাম
এলোমেলো ।
লিখতে লিখতে
কলমের কালি গেল ফুরিয়ে ---
চোখ তুলে দেখি
বাদামী পাতার ফাঁকে,
রোদের শেষ
সিঁদুরটুকু
কখন মুছে গেছে!
সন্ধ্যার ছায়া ছায়া
অন্ধকারে মুখ লুকিয়ে
হঠাৎ আমার খুব
কাঁদতে ইচ্ছে করল!
প্রতীক্ষা
কী এক দুঃসহ
প্রতীক্ষায়
ঘুরে যায় ঘড়ির কাঁটা;
পায়ের শব্দ শুনবে বলে
তিরতির কাঁপে মোম আলো!
সব দরজা খুলে দিই,
জেগে থাকি,
সাবধানে কান পেতে রাখি ---
টিক্টিক্, টিক্টিক্,
দুলে চলে নাছোড় দোলক।
কত কতদিন
পার হয়ে গেল,
চোখের পাতায় ক্লান্তি,
আনমনা সময়ের ছায়া
গাঢ়তর হয় ---
তাই ভয় হয়,
মুহূর্তের বিভ্রমে
কেউ এসে ফিরে গেল না
তো ?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন