শুক্রবার, ১৪ জুন, ২০১৩

২১ সুবীর সরকার

আখ্যান
সুবীর সরকার



নদীর ভিতর নদী শুয়ে থাকে। নদীর মধ্য থেকে তুমুল এক নদী উঠে আসে। হাই তোলে। পায়ে পায়ে গড়িয়ে যায় রাস্তা। গলিপথ। তস্য গলি। বস্তির বাচ্চারা গান গায়। গানের গায়ে জড়িয়ে যায় খিস্তিখেউড়। আবার এক একদিন সীমাহীন এক প্রান্তর হয়ে ওঠে পৃথিবী। বাতিদান বেয়ে রক্ত গড়িয়ে নামে। রক্তের দাগ অনুসরণকারী পাখিদের ডানার নিচে কাচপোকা, ফড়িং। জীবন কাঁটাগাছের দিকে পাশ ফেরে। দেশাচারের নকশির ভিতর হরেকরকম মানুষজন। বিলাপরত স্কুলবালিকা। গান বাজনার তারসে সংক্রমণতায় ফাঁকা হয়ে যাওয়া মাঠ প্রান্তর থেকে উড়ে আসে প্রজন্মপীড়িত কথকেরা। তারপর লোককথার ঢঙে গল্প এগোতে থাকে। অন্ধকারে নদীর পাশে তখন ভূতুড়ে ভাটিখানা। আর চোখে জল আসতেই মাতালেরা সব প্রেমিক হয়ে যায়। প্রান্তবাসীর হাতে হাতে বাঁশি ঘোরে। বাঁশি বেজেও ওঠে আচমকা। তখন হেরম্ব বর্মন উঠে দাঁড়ায়। মহামানব হতে পাবার সুযোগ হেলায় সরিয়ে দিয়ে সে ধুলো-মাটি আর মানুষের অ্যাখ্যানমালা সাবলীল বলে যেতে থাকে। অবিরাম তাঁতকল ঘোরে। আর নদীর মধ্যে থেকে তুমুল এক নদী উঠে আসে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন