তিনটি কবিতা
শুভ্রনীল সাগর
এ জার্নি উইথ টু হানড্রেড এন্ড সিক্স বোনস-১
বলতে দ্বিধা নেই যে আমার ঠিকানায় কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। আমরা তবু দিনের পর দিন খাওয়ার আগে হাত ধুয়ে যাচ্ছি! এ মন মধ্যপদলোপী মৃগনাভ পিঁপড়ে যাত্রা -- কোনো মানে আছে, থাকতে হয়?
অঘ্রাণে আড়ি পেতে বুঝে নিও খসড়া জীবন। তারাময় ফিস্ ফিস্ যদিও শেখায়নি চোখটেপা অনুভূতি, কিন্তু তার মানে তো এই নয়, আমার টুথপেস্টের মুখটা হারিয়ে যাবে! যে রাত মশারি টাঙানো, নাক্ষত্রিক -- নিয়ন আদলে তুমি সেই অকারণ পত্রের প্রথম। তরুলতা ততোধিক সর্বনাম সহায়, যতটা দেওয়াল দ্বিধায় গোলাপি কশেরুকা। গায়ের গন্ধ তুলে নাও অনার্য পিতা, চাঁদরূপী গাঙুর বানান আমি শিখে নেবো। আপাতত গরু ঘাস খেয়ে চলে যাক। অবশ্য মাকরিক মনোক্লেশ প্রকারান্তে যতিচিহ্নহীন দ্বিতীয়া প্রণয়, থরো থরো...
লিবিয়া, তুমি কি অ্যাভাস্ট ইউজ কর...
এ জার্নি উইথ টু হানড্রেড এন্ড সিক্স বোনস-২
নীল বেড়ালের যে গল্পটা ভুলে গেছি, তাতে ছিল ডালিম গাছ। পাতা-প্রহর মনে নেই, তবু জানি ছায়াদের কথা মনে হবে। যে-জীবন রোদের, রাতের -- তার সাথে কার হবে দেখা? আমার সঙ্গে দেখা হয়নি অথচ বৃষ্টি হয়ে যাচ্ছে। ভেজার নাম করে খানিকটা কেঁদে নেওয়া ভালো...
চিঠিতে লিখেছি লাল ফুল আর কতিপয় রঙের ধারণা। তবে ঘরে ফেরা ঘড়ির কাঁটার উল্টো কিনা, ভেবে দেখব। কই, তোমাদের বেজোড় তারিখের কথা বলনি তো আমাকে! তাই বুঝি ধানটুনি অমন অভিমানী হলো। কথা হলে তাকে ছুঁতে বলো গ্রীষ্মের চিলেকোঠা...
অনেকটা হাঁটা হলে কমে আসে ফেরার আকুতি। মনে হয়, পেছনটা ভুলতে চাই ভোরের লাহান। সেটা বাবুই জন্ম, বিবিধ বিষাদ নাকি আঁতুড় দাগ? কাছে এসো, করগুনে বলে দেব কত ঢেউ ভৈরবে...
এই চাঁদ ঝরে গিয়ে চিঠি হবে...
এ জার্নি উইথ টু হানড্রেড এন্ড সিক্স বোনস-৩
চোখ এঁটো করে দাও। আমি তার কথা ভুলে যাচ্ছি, যদিও তাহার কথা ভুলে যেতে নেই। রাত্রে কাঁদলে ভুলের মৃত্যু জাগে, উড়ে যায়...
এও কি ভেবেছো কখনো? কথারা দূর সম্পর্কের আত্মীয়া -- স্নানে গেলে হাতপাখা একলা পড়ে থাকে! বেশ -- ফড়িঙের কথা ভাবি, ব্যাঙের ছাতাও। কথা নেই বার্তা নেই, এই যে রোদ হয়ে নাড়িয়ে দিচ্ছ জ্যৈষ্ঠের তালপাতা -- আমি তো আগেই বলেছি উহা ফেরত দেব...
মানুষ সম্পর্কে কোনো সিদ্ধান্তে আসা যাচ্ছে না। কারণ, এরা নারকেল ভেঙে খেতে জানে -- বর্ষাবদলে অভ্যস্ত। আমি তখন গাধার সঙ্গে ছিলাম। কথা প্রসঙ্গে সে বলছিলো, বোঝা বইতে তার আর ক্লান্তি আসে না। বললাম, তা কীভাবে? বলল, আমি জানি আমি বোঝা বই। আমার বাদাড় নয় তোমাদের মতো বেজন্মা চৈত্রহীন...
দয়া করে একশ টাকা, পাঁচশ টাকা ভাংতি দিন...
শুভ্রনীল সাগর
এ জার্নি উইথ টু হানড্রেড এন্ড সিক্স বোনস-১
বলতে দ্বিধা নেই যে আমার ঠিকানায় কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। আমরা তবু দিনের পর দিন খাওয়ার আগে হাত ধুয়ে যাচ্ছি! এ মন মধ্যপদলোপী মৃগনাভ পিঁপড়ে যাত্রা -- কোনো মানে আছে, থাকতে হয়?
অঘ্রাণে আড়ি পেতে বুঝে নিও খসড়া জীবন। তারাময় ফিস্ ফিস্ যদিও শেখায়নি চোখটেপা অনুভূতি, কিন্তু তার মানে তো এই নয়, আমার টুথপেস্টের মুখটা হারিয়ে যাবে! যে রাত মশারি টাঙানো, নাক্ষত্রিক -- নিয়ন আদলে তুমি সেই অকারণ পত্রের প্রথম। তরুলতা ততোধিক সর্বনাম সহায়, যতটা দেওয়াল দ্বিধায় গোলাপি কশেরুকা। গায়ের গন্ধ তুলে নাও অনার্য পিতা, চাঁদরূপী গাঙুর বানান আমি শিখে নেবো। আপাতত গরু ঘাস খেয়ে চলে যাক। অবশ্য মাকরিক মনোক্লেশ প্রকারান্তে যতিচিহ্নহীন দ্বিতীয়া প্রণয়, থরো থরো...
লিবিয়া, তুমি কি অ্যাভাস্ট ইউজ কর...
এ জার্নি উইথ টু হানড্রেড এন্ড সিক্স বোনস-২
নীল বেড়ালের যে গল্পটা ভুলে গেছি, তাতে ছিল ডালিম গাছ। পাতা-প্রহর মনে নেই, তবু জানি ছায়াদের কথা মনে হবে। যে-জীবন রোদের, রাতের -- তার সাথে কার হবে দেখা? আমার সঙ্গে দেখা হয়নি অথচ বৃষ্টি হয়ে যাচ্ছে। ভেজার নাম করে খানিকটা কেঁদে নেওয়া ভালো...
চিঠিতে লিখেছি লাল ফুল আর কতিপয় রঙের ধারণা। তবে ঘরে ফেরা ঘড়ির কাঁটার উল্টো কিনা, ভেবে দেখব। কই, তোমাদের বেজোড় তারিখের কথা বলনি তো আমাকে! তাই বুঝি ধানটুনি অমন অভিমানী হলো। কথা হলে তাকে ছুঁতে বলো গ্রীষ্মের চিলেকোঠা...
অনেকটা হাঁটা হলে কমে আসে ফেরার আকুতি। মনে হয়, পেছনটা ভুলতে চাই ভোরের লাহান। সেটা বাবুই জন্ম, বিবিধ বিষাদ নাকি আঁতুড় দাগ? কাছে এসো, করগুনে বলে দেব কত ঢেউ ভৈরবে...
এই চাঁদ ঝরে গিয়ে চিঠি হবে...
এ জার্নি উইথ টু হানড্রেড এন্ড সিক্স বোনস-৩
চোখ এঁটো করে দাও। আমি তার কথা ভুলে যাচ্ছি, যদিও তাহার কথা ভুলে যেতে নেই। রাত্রে কাঁদলে ভুলের মৃত্যু জাগে, উড়ে যায়...
এও কি ভেবেছো কখনো? কথারা দূর সম্পর্কের আত্মীয়া -- স্নানে গেলে হাতপাখা একলা পড়ে থাকে! বেশ -- ফড়িঙের কথা ভাবি, ব্যাঙের ছাতাও। কথা নেই বার্তা নেই, এই যে রোদ হয়ে নাড়িয়ে দিচ্ছ জ্যৈষ্ঠের তালপাতা -- আমি তো আগেই বলেছি উহা ফেরত দেব...
মানুষ সম্পর্কে কোনো সিদ্ধান্তে আসা যাচ্ছে না। কারণ, এরা নারকেল ভেঙে খেতে জানে -- বর্ষাবদলে অভ্যস্ত। আমি তখন গাধার সঙ্গে ছিলাম। কথা প্রসঙ্গে সে বলছিলো, বোঝা বইতে তার আর ক্লান্তি আসে না। বললাম, তা কীভাবে? বলল, আমি জানি আমি বোঝা বই। আমার বাদাড় নয় তোমাদের মতো বেজন্মা চৈত্রহীন...
দয়া করে একশ টাকা, পাঁচশ টাকা ভাংতি দিন...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন