অদ্বৈতচন্ডাল
অত্রি ভট্টাচার্য
(১)
যে-ই মধ্যমা পড়ুক, মধ্যমা ওঠাক –- কুকুরেরা
স্তম্ভ মনে রাখে। পাদানিতে দৃশ্য শুইয়ে ক’মিনিট এইখানে বসে, আগাছা নিড়োয়—
প্লাস্টিকপেন্টের গন্ধ মূলতঃ ওদের বেগুনী তালু থেকেই
কেয়ারীকে দূষিত করছে। সংসারের দুরন্ত লোমে জড়াচ্ছে হাওয়া—
চারটি ছিটের জামা আমাতে ওড়ে –- ওদের মা ঘুঁটে দেয়
পিচকারির মতো সিংহ লাফিয়ে পড়ে আনিমিয়ার মরশুম
মাথার কাছেই এসে, গা-ঝাড়ার দিন। মাঝে মাঝে
সশব্দ ডাব চুঁইয়ে অমৃতআদর পড়ছে চিবুকে
চামড়ায় চামড়া ঠেকে আছে।
ক্রমশ-য় ব্লার চাঁদনীঅক্ষর।
(২)
আপাত ঘুমিয়ে পড়ি জলে শ্যামবিবেক লুকাই
দিনপনেরো চলকে যাচ্ছি, ডুগডুগিতে
উঠে আসছে দৈনন্দিন ভালুক।
ছন্দটি বাজছে এখনো চামড়া-রা আরও টান সমস্ত বাড়িতে
বাঁ-হাতে ব্যাগ-ও আছে তার রাজবেশ নেই—
কবজিতে দাগ আছে না-পোড়ারকমের পোড়া
জল হতে হতে এই রান্নাঘরে
অপবিত্রের হাঁটুও ডোবে না।
লক্ষ্মী আছেন, তিনি
না থেকেই বা যাবেন কোথায়?
(৩)
জঙ্গলটি বিছানা নিয়েছে –- ওকে তুড়ি মারছে অর্ধবৃত্তাকার
গলায় দ্বৈপায়নকাঁটা, স্বাতীজল আর আড়বাঁশী।
এ আর নৈঃশব্দ্যে নেই একে শেষ করো
এ একধরনের আত্মরতি সবিশেষ করে
তাম্বুলের জন্ম দেয় এঁকে
অবিশ্বাস কোরো—
রাতের হাঁড়ি দিয়ে সোহাগা মেপো না
স্তবকল্যাণে আমাদের নিয়তি বেদম হলো।
বাখারিতে বাঁধা প্রত্নবীজ
এমন চৈত্যের দিনে
পাঠবৈঠকীর ধুলো ঝাড়া যায়।
অত্রি ভট্টাচার্য
(১)
যে-ই মধ্যমা পড়ুক, মধ্যমা ওঠাক –- কুকুরেরা
স্তম্ভ মনে রাখে। পাদানিতে দৃশ্য শুইয়ে ক’মিনিট এইখানে বসে, আগাছা নিড়োয়—
প্লাস্টিকপেন্টের গন্ধ মূলতঃ ওদের বেগুনী তালু থেকেই
কেয়ারীকে দূষিত করছে। সংসারের দুরন্ত লোমে জড়াচ্ছে হাওয়া—
চারটি ছিটের জামা আমাতে ওড়ে –- ওদের মা ঘুঁটে দেয়
পিচকারির মতো সিংহ লাফিয়ে পড়ে আনিমিয়ার মরশুম
মাথার কাছেই এসে, গা-ঝাড়ার দিন। মাঝে মাঝে
সশব্দ ডাব চুঁইয়ে অমৃতআদর পড়ছে চিবুকে
চামড়ায় চামড়া ঠেকে আছে।
ক্রমশ-য় ব্লার চাঁদনীঅক্ষর।
(২)
আপাত ঘুমিয়ে পড়ি জলে শ্যামবিবেক লুকাই
দিনপনেরো চলকে যাচ্ছি, ডুগডুগিতে
উঠে আসছে দৈনন্দিন ভালুক।
ছন্দটি বাজছে এখনো চামড়া-রা আরও টান সমস্ত বাড়িতে
বাঁ-হাতে ব্যাগ-ও আছে তার রাজবেশ নেই—
কবজিতে দাগ আছে না-পোড়ারকমের পোড়া
জল হতে হতে এই রান্নাঘরে
অপবিত্রের হাঁটুও ডোবে না।
লক্ষ্মী আছেন, তিনি
না থেকেই বা যাবেন কোথায়?
(৩)
জঙ্গলটি বিছানা নিয়েছে –- ওকে তুড়ি মারছে অর্ধবৃত্তাকার
গলায় দ্বৈপায়নকাঁটা, স্বাতীজল আর আড়বাঁশী।
এ আর নৈঃশব্দ্যে নেই একে শেষ করো
এ একধরনের আত্মরতি সবিশেষ করে
তাম্বুলের জন্ম দেয় এঁকে
অবিশ্বাস কোরো—
রাতের হাঁড়ি দিয়ে সোহাগা মেপো না
স্তবকল্যাণে আমাদের নিয়তি বেদম হলো।
বাখারিতে বাঁধা প্রত্নবীজ
এমন চৈত্যের দিনে
পাঠবৈঠকীর ধুলো ঝাড়া যায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন