দুটি কবিতা
সাজ্জাদ সাঈফ
পিত্তের অসুখ
তুমি অধরাই থেকে যাও, কাশবনে, পাতার চত্বরে; বমনের প্রেত
এসে পেট গুলিয়ে দিলে আরো একবার পান করি ধাঁধারস অমৃত
মনে, সুপুরি ছেঁচা ঝরঝরে রস, তুমি যথারীতি বমনেই আসো
ঘুঙুর বাজাও, এ'ও বোধ করি পিত্তের অসুখে তোমার এই সব
বিনে ইস্যুতে আসা যাওয়া নুনের ছিটা বৈ আর কিছু নয়, অনাসৃষ্টির
কলকব্জা দেয়ালে মেরুন মৃৎশিল্প, যত ছুঁতে চাই কল্পিত ঘর
পাশে ধীর গতি নদীর মতো ছবিময় তোমার চিবুক তত সরে যায়;
আহ্লাদ জাগে চরের মতো হাত রাখা যেত হাতে, পাশ ফেরা মুখের
আদলে কাটাকুটি করা স্কেচটাতে তোমার হাতটুকু বাদ না গেলে,
এ'ও বেশ পুরনো খবর; আজ অপারেশানে যাচ্ছি তমা!
তপোবন
আড্ডা-স্টল হতে কিছু দূরে পৌরসভার স্ট্রিটল্যাম্পে আলোকে রহিত দেখে আমাদের আমোদ বাড়ে, পাহাড়ের ছায়াপাত শাবকের মতো ছিটিয়ে রয়েছে সড়কদ্বীপের ঘাস, ছুঁয়ে দেখি ঋণের দায়ে উদাসীন ম্যাপ কাঁপছে পেছনে, দু’ধারে কোতোয়াল খাড়া; সেই অনিশ্চিত স্নানদহনের মতো দ্রুতবিধে তোমায় মনে করি আর খাওয়ার ডাক পড়লে বাংলোর রাধুনীর হাতে লুচি পরোটার হাওয়া উড়তে দেখি, যেন ধুতির গিঁটে অভ্রখনির ঢেলা যেন শুকপাখিদের রতিপাথরের মালা শাপ মোচনের তদবির মুখে আহারের মৌমাছি তাড়িয়ে শিউলি ঝরার প্রথা ত্বরিত করে; চেতনা পাঠে সহমরণের স্পর্ধায় যারা ফুঁড়ে উঠেছিলো শিশিরের তপোবন, তাদের তর্জনী উষ্মায় নড়ে আর গ্রীষ্মরজনীর ক্লান্ত শিশুদের খৎনার কাঠে উগড়ে ফেলি ইশারাময় মৃত্যুর পণ্য--
সৌম্যের বুকে আলিঙ্গনের দাগ, পিছমোড়া বাঁধি আগ্রাসনের ব্যাধ!
সাজ্জাদ সাঈফ
পিত্তের অসুখ
তুমি অধরাই থেকে যাও, কাশবনে, পাতার চত্বরে; বমনের প্রেত
এসে পেট গুলিয়ে দিলে আরো একবার পান করি ধাঁধারস অমৃত
মনে, সুপুরি ছেঁচা ঝরঝরে রস, তুমি যথারীতি বমনেই আসো
ঘুঙুর বাজাও, এ'ও বোধ করি পিত্তের অসুখে তোমার এই সব
বিনে ইস্যুতে আসা যাওয়া নুনের ছিটা বৈ আর কিছু নয়, অনাসৃষ্টির
কলকব্জা দেয়ালে মেরুন মৃৎশিল্প, যত ছুঁতে চাই কল্পিত ঘর
পাশে ধীর গতি নদীর মতো ছবিময় তোমার চিবুক তত সরে যায়;
আহ্লাদ জাগে চরের মতো হাত রাখা যেত হাতে, পাশ ফেরা মুখের
আদলে কাটাকুটি করা স্কেচটাতে তোমার হাতটুকু বাদ না গেলে,
এ'ও বেশ পুরনো খবর; আজ অপারেশানে যাচ্ছি তমা!
তপোবন
আড্ডা-স্টল হতে কিছু দূরে পৌরসভার স্ট্রিটল্যাম্পে আলোকে রহিত দেখে আমাদের আমোদ বাড়ে, পাহাড়ের ছায়াপাত শাবকের মতো ছিটিয়ে রয়েছে সড়কদ্বীপের ঘাস, ছুঁয়ে দেখি ঋণের দায়ে উদাসীন ম্যাপ কাঁপছে পেছনে, দু’ধারে কোতোয়াল খাড়া; সেই অনিশ্চিত স্নানদহনের মতো দ্রুতবিধে তোমায় মনে করি আর খাওয়ার ডাক পড়লে বাংলোর রাধুনীর হাতে লুচি পরোটার হাওয়া উড়তে দেখি, যেন ধুতির গিঁটে অভ্রখনির ঢেলা যেন শুকপাখিদের রতিপাথরের মালা শাপ মোচনের তদবির মুখে আহারের মৌমাছি তাড়িয়ে শিউলি ঝরার প্রথা ত্বরিত করে; চেতনা পাঠে সহমরণের স্পর্ধায় যারা ফুঁড়ে উঠেছিলো শিশিরের তপোবন, তাদের তর্জনী উষ্মায় নড়ে আর গ্রীষ্মরজনীর ক্লান্ত শিশুদের খৎনার কাঠে উগড়ে ফেলি ইশারাময় মৃত্যুর পণ্য--
সৌম্যের বুকে আলিঙ্গনের দাগ, পিছমোড়া বাঁধি আগ্রাসনের ব্যাধ!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন