মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫

বাপী চক্রবর্তী

 

কবিতার কালিমাটি ১৫০


অপরিচিত

 

আসলে তেমন করে দেখা হয়নি নিকটের পরিসীমা

গেরস্থালির কানাচে জমে থাকা স্থায়ী দীর্ঘশ্বাস

দেখা হয়নি অলক্ষ্যে গজিয়ে ওঠা প্রিয় তৃণভূমি

কিম্বা সন্ধ্যার আন্হিক আলোয় নিবিড় তুলসীতলা

 

বুঝিনি নৈকট্য কখন যেন সরে গেছে দূরে

আমার দৃষ্টির প্রসারতায় ছিল বোধি বৃক্ষের ছায়া

আমি তাকিয়ে দেখিনি নিভৃতে জ্বলতে থাকা সান্ধ্যপ্রদীপ

 

বাহিরে সতত আমি যত পরিচিত

ঘরে ফিরে এসে দেখি কেউ চেনে না আমায়।

 

দূরে ও কাছে

 

দূর থেকে যতটা সাদা মনে হয় কাছে এসে দেখি

ততটা নয়

দূর থেকে বোঝা যায় না কতটা সরল অথবা মেকি

সহজ নয়

তবুও তো হাত বাড়াতেই হয় কারোর প্রতি

বন্ধু ভাবি

সম্পর্ক গড়ে ওঠে কাছে ও দূরে পায় পরিণতি

হারানো চাবি

খুঁজে পায় অন্য কোন পথ জুড়ে বিষণ্ণতার আলো

রৌদ্র ছায়া

যেটুকু অবশিষ্ট থাকে তাই নিয়ে বাঁচা মন্দের ভালো

মেঘলা কায়া

 

দূর থেকে যতটা আলো দেখা যায় কাছে তার অমাবস্যার নিশা

 

মোবাইল

 

একটি বাড়ি পাশাপাশি দুইখানি ঘর

দুই ঘরে বাস করে দুইজন নিশাচর

এঘর ওঘর কে বলে কেমন আছো বলো

রাতজাগা পাখিটি শুধোয় কত রাত হলো?

জেগে থাকে নিশুতি রাত জাগে দুইজনা

দুই ঘরে দুটি হৃদয় স্পর্শহীন অনুভূতি কণা

ইঁদুর দৌড়ে মগ্ন সবাই সময় নেইতো আর

সময় নিয়ে দুদণ্ড মুখোমুখি বসিবার

প্রেম নেই স্টেটাস আছে, আছে সারহীন প্রোফাইল

হৃদয় শূন্য থাকে বুকে থাকে দুরন্ত মোবাইল।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন