মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫

দেবাশিস মুখোপাধ্যায়

 

কবিতার কালিমাটি ১৫০


দুঃস্বপ্ন

 

ঘুমিয়ে পড়েছে সব চিঠিপত্র

দাদাগিরি ফলাচ্ছে মোবাইল

মানুষের সঙ্গে বসে কথা বলার

সব ইচ্ছে ইচ্ছের ভিতর গুমরাচ্ছে

আদর আবদার জলে ফেলে

ভাসিয়ে দাও স্রোতে

এ শহর গিলে নিচ্ছে তুমির হাঁ

ধাঁধার ভিতর তুমিও এক মস্ত ধাঁধা

মাথার ভিতর এখন মেঘ আর মেঘ

আকাশবাড়ির হাতছানি মানুষকে

পেয়ে ইঁদুর ঘাঁটাঘাঁটি করে

ক্রমশঃ ছোট থেকে ছোটতর করে ফেলেছে মানুষকে

তোমার হাত নিজের মুঠোয় নিতে

গিয়ে আবিষ্কার করি

একটা ভীড় টুকরো টুকরো করে

হারানো প্রাপ্তি নিরুদ্দেশের বিজ্ঞাপন সেঁটে দিয়েছে বুকের দেয়ালে

 

ইদানিং

 

বিড়াল বসে আছে আমার আর তোমার মাঝে

অদ্ভুত হাঁটাচলা তার

যতটা ভিতর বাইরে হিংস্রতা

ততটা হিংস্র নয় সে

এতো হাহাকার দেখে উদাসীন

আমি ও তুমি

সে শুধু আড়মোড়া ভেঙে চলে

যায় পাশের বাড়ির বিড়ালের পাশে

লজ্জা নেই

দিনকে রাত করছি আমরা

আর রাতকে নিস্তেজ সরীসৃপ

আমাদের নখ বেড়ে যাচ্ছে

আর ছাইগাদা

 

দুপুরে

 

একটা কালো কড়াই

ফুটিয়ে গলিয়ে তুলছে আমার বেরোবার ইচ্ছেকে

হাওয়া এসে জানালায় শব্দ করে

ছিটকিনি তুলে দিলে

একটা আস্ত ঘর বিশাল মুখে

পুরে নিচ্ছে গোটা আমিকে

আসলে এখন ঘরটাই মালিক

তার হুকুম ছাড়া বৃষ্টিও ঢুকতে পারে না

তার পেটে আমি হাঁপাই আর হাঁপাই

কে শুনছে!

 

 

 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন