ধারাবাহিক উপন্যাস
ইন্দ্রপুরী রহস্য
(১)
ইন্দ্রপতন
তীব্র দাবদাহে ঝলসে যাচ্ছে আমার শহর। সবে মার্চ মাস। এবই মধ্যে গাছের পাতাগুলো শুকনো খটখটে অনাহারক্লিষ্ট শিশুর মতো হাহাকার করছে। আমাদের সাদার্ন এভিন্যিউ-এর বাড়িতে কাঁচের বাইরে যেটুকু শহরের ফুসফুস, সেই সবুজও ক্রমশ নাভিশ্বাস ফেলে রক্তাভ গৌরবর্ণ হয়ে উঠেছে। এমনই এক রৌদ্রতপ্ত সাতসকালে হন্তদন্ত হয়ে এল অলোকেশ। ডাক্তার অলোকেশ দত্ত। আমার ন্যাশানাল মেডিকেল কলেজেরই দুই বছর জুনিয়র। চাকরি না করে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করে শহরে সাইকিয়াট্রিস্ট হিসেবে ইতিমধ্যেই বেশ নামডাক করে ফেলেছে। মাঝেমধ্যে কথা হয় মেসেঞ্জারে। কিন্তু আজ হঠাৎ এইভাবে সশরীরে বিনা সংবাদে এইভাবে সে চলে আসবে ভাবিনি।
আশুদা পড়াশোনা করছিল। আমার মেন্টর,
ডক্টর আশুতোষ মুখোপাধ্যায়। কলকাতার মেধাবী ডাক্তার সাইকায়াট্রি ও মেডিসিন, দুটিতেই
স্নাতকোত্তর হয়ে পাড়ি দিয়েছিলেন বিদেশে। গবেষণার কাজে। বিষয় ফরেন্সিক সাইকায়াট্রি। অপরাধ জগতের মনস্তত্ত্ব। বিপুল
জনপ্রিয়তা, যশ খ্যাতির ভিতরেই তাঁর একমাত্র ছেলে ঋক একদল বেসামাল দুর্বৃত্ত রোগীপরিজনের
হাতে নিগৃহীত হবার পর ডাক্তারি ছেড়ে দেয়। কিন্তু তার গবেষণা অব্যাহত থাকে। আশুদা নিজেকে
সত্যের অনুসন্ধানী বলে না, বলে অপরাধের মনোসন্ধানী। অপরাধপ্রবণ মনের ব্যবচ্ছেদ করাই
তার নেশা এখন। যাক সে কথা। কিন্তু এই জীবনযাপনের নাগরদোলা আশুদাকে তাঁর পড়াশোনা থেকে
বিচ্যুত করতে পারেনি। আশুদা খুব ভোরে ওঠে। উঠেই পড়তে বসে। অথবা কোনও নতুন গবেষণায় মন
দেয়। একসময় তার মাথায় থিয়েটারের আলো, রঙ, এসবের ভূত চেপেছিল। আরেকবার চেপেছিল ভারতনাট্টমের
অনুসন্ধিৎসা। আপাতত কিছুদিন আশুদা ঋকবেদ নিয়ে পড়েছে। দিনরাত কী পড়ছে কে জানে! সকালবেলাও
তাকে সেই পঠনরত অবস্থাতেই পাওয়া গেল।
অলোকেশ অবশ্য রীতিমতো হাঁপাচ্ছিল।
ঘড়িতে সকাল সাড়ে সাতটা। অলোকেশের বাড়ি সেই বেহালা চৌরাস্তা। সাতসকালে এভাবে আসার কারণ
কী হতে পারে ভাবছিলাম।
-খুব বিপদে পড়ে গেছি অর্কদা। একবার
আশুদাকে ডেকে দাও।
-আরে বসো বসো। তা কী বিপদ বলবে
তো? জল খাও। নাও।
একগ্লাস জল গোগ্রাসে গিলে ফেলতেই
দেখি ঘরে আশুদা এসে হাজির। আশুদাও অলোকেশকে অল্পস্বল্প চেনে। তাই পরিবেশটা সামান্য
সহজ করে দিয়ে বলল, "কী ব্যাপার অলোকেশ। তোমার হলো কী?"
-আমার খুব বিপদ আশুদা। এই দেখুন।
অলোকেশ তার মোবাইলটা খুলে একটা
লাইভ রিল্স এগিয়ে দিল। শহরের বুকে নতুন দুঃস্বপ্ন। টালিগঞ্জের একটা হাইরাইজ থেকে ঝাঁপ
দিয়ে আত্মহত্যা করেছে জনপ্রিয় টেলিভিশন তারকা অভিনেতা শুভায়ু দে। এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ
সারা শহর। ঘটনাটা ঘটেছে গতকাল রাত এগারোটার সময়। খুবই দুঃখজনক ঘটনা। কিন্তু এই ঘটনার
সঙ্গে অলোকেশের এই আতঙ্কের কী যোগ অনুমান করতে পারলাম না। সেই ধোঁয়াশা কাটিয়ে দিতে এবার অলোকেশ নিজে থেকেই বলল,
-এই ঘটনা ঘটে রাত এগারোটায়। ইন্দ্রপুরী
রেসিডেন্সিতে। আর রাত সাড়ে দশটার সময়তেও আমি ওই শুভায়ু দের ফ্ল্যাটেই ছিলাম। একটা হোম
কলে।
আশুদা ভ্রূকুঞ্চিত ভাবে ভাবতে ভাবতে
বলল, "ইন্টারেস্টিং। কে দিয়েছিল হোম কল?"
-শুভায়ু দের স্ত্রী। নবনীতা। উনি
আমাকে চিনতেন। একসময় একটা টক শোতে ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন আমার। আমি আজকাল সচরাচর হোমকলে
যাই না। কিন্তু নবনীতা বললেন, 'আর্জেন্ট'। শুভায়ু দে টলিপাড়ায় একটা বড় নাম। দরকারটা
ওরই। সেই কারণেই রাত হলেও না করতে পারিনি। গেলাম।
-তারপর? কী দেখলেন?
-এর আগে ওই অ্যাপার্টমেন্টে যাইনি।
অতো বড়ো বড়ো হাইরাইজ। আমার নিজের অ্যাক্রোফোবিয়া আছে। উঁচুতে উঠলে আমার মাথা ঘোরে।
শুভায়ুবাবুর ফ্ল্যাট একুশতলায়। ঘরে ঢুকে দেখলাম মেঝের উপর একটা বারমুডা আর গেঞ্জি পরে বসে আছেন। অনর্গল বিড়বিড় করছেন।
মাঝেমাঝে উত্তেজিত হয়ে যাচ্ছেন।
-কী মনে হল? ডায়াগনোসিস?
-মনে তো হল প্যারানয়েড সিজোফ্রেনিয়া।
আগের কিছু কাগজপত্রও দেখালেন নবনীতা। তবে নিয়মিত ওষুধ কখনওই খেতেন না। ফলে রেকার করত
এপিসোডগুলো। এর ফলে টলিপাড়াতেও ইদানিং ওনাকে নিয়ে ঝামেলা চলছিল।
-তা বেশ। বুঝলাম। কিন্তু রাত সাড়ে
দশটায় হোমকল দেবার আর্জেন্সিটা কী ছিল?
-সেটাই তো আসল ব্যাপার। নবনীতা
বলছিলেন শুভায়ুবাবু দুদিন ধরে বারবার শুধু জানলা দিয়ে ঝাঁপ দেবার কথা বলছেন। দুবার
চেষ্টাও করেছিলেন। আটকানো গেছে কোনও মতে।
-ঘরে আর কেউ থাকে না?
-আছে। একজন মেল নার্স গোছের। ষণ্ডামার্কা
চেহারা। কিন্তু বুদ্ধিসুদ্ধি তেমন নেই মনে হল। নবনীতা বললেন, তাঁদের পূর্বপরিচিত। আর
একজন রান্নার লোক আর গার্ড।
-তা বেশ। তুমি এতো ঘাবড়াচ্ছো কেন?
আশুদার মিটিমিটি হাসি দেখে বুঝতে
পারলাম, ভিতর ভিতর আশুদা কিছু একটা অনুমান করছে। অলোকেশ কপাল থেকে ঘাম মুছতে মুছতে
বলল,
-ওই বাড়িটা কখনোই শুভায়ুবাবুর জন্য
নিরাপদ ছিল না। একটা জানলার গরাদ নেই। বাইরে তাকালেই নিঝুম অন্ধকার। আমি প্রেসক্রিপশনে
লিখে দিয়েছিলাম, বুঝিয়ে বলেছিলাম, ওনাকে এখুনি ভর্তি করতে হবে। ইঞ্জেকশনের পরামর্শও
দিয়েছিলাম। সেইসব প্রমাণ আমার কাছে আছে।
-তাহলে তো মিটেই গেল। ঘাবড়াচ্ছো
কেন। চলো। একটু চা খাওয়া যাক।
রান্নাঘরের সিঙ্কে ফ্লাস্কে চা
থাকেই সবসময়। আশুদা মাঝেমধ্যেই খায়। আমি অবশ্য তেমন চাপিপাসু নই। তবে আজ আমার ছুটি।
সরকার একটি পরবের জন্য ছুটি ঘোষণা করেছে। আমিই চায়ের বন্দোবস্ত করে ফেললাম। অলোকেশ
খানিকটা যেন স্বাভাবিক হতে পেরে বলল,
-আসলে, আজ সকালে লালবাজার থেকে
ফোন করেছিল। অফিসারের নাম তথাগত অধিকারী। উনিই এই বিষয়টির তদন্ত করছেন।
-এতে ভয় পাবার কী আছে? এজ আ মেডিকেল
হুইটনেস তোমার যা যা বলবার বলবে। ঠাণ্ডা মাথায় বলবে...
-কিন্তু মৃত্যুর কয়েক মিনিট আগেও
আমি ওই ক্রাইমসিনে ছিলাম, এ নিয়ে যদি কিছু বলে?
আশুদা চায়ে চুমুক দিয়ে বলল, "আমি
তথাগতকে চিনি। খুব মেধাবী পুলিশ অফিসার। তোমার সঙ্গে যা যা সত্যি ঘটেছে, সেগুলোই বলবে।
কোনও কিছু ফ্যাব্রিকেট না করলে এখানে ডাক্তার হিসেবে তোমার ভয় পাবার কিছু নেই।
অলোকেশ খানিকটা আশ্বস্ত হয়ে চলে
যেতেই আমি জিজ্ঞাসু চোখে বললাম, "ব্যাপার কী আশুদা?"
-ছেলেটা ঘাবড়ে গেছে। আসলে সেলিব্রিটি
বড়লোকদের ব্যাপার তো! ওকে দেখে মনে হল সাধারণ মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে। তাই ভয় পাচ্ছে হয়তো। দেখি একবার তথাগতকে
ফোন করে...
আশুদা তথাগতর সঙ্গে কথা বলতে শুরু
করল। আর আমি আমার কাপে অবশিষ্ট চা শেষ করতে করতে বাইরের দিকে তাকিয়ে ভাবছিলাম, উন্নত
শহরে এই প্রবণতা নতুন নয়। উঁচু ব্রিজ, বাড়ি, খাদ থেকে এভাবে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার প্রবণতাকে মনোবিজ্ঞানে 'অ্যানাক্যাবালেসিস'
বলে। এই শব্দ গ্রিক আর লাতিন ভাষার সংমিশ্রণ। এই আত্মহত্যার প্রবণতা কেন যেন বিখ্যাত
মানুষদের ভিতর বেড়েই চলেছে। এত আলো, পরিচিতি, খ্যাতি, ক্ষমতা! তবু তার ভিতর এতো অবসাদ
কোথা থেকে আসে? এর নামই কি 'হ্যাপিনেস স্যুইসাইড প্যারাডক্স'!
-চল। আজ তো তোর ছুটি। বেরোতে হবে।
-কোথায়?
-ইন্দ্রপুরী অ্যাপার্টমেন্ট। তথাগত
ডেকেছে।
-ওনাকে বললে?
-বললাম। আমার ফোন পেয়ে ও খুব খুশি।
বুঝতেই তো পারছিস, সেলিব্রিটি স্যুইসাইড। তার ওপর শুভায়ু ছিল টলিগঞ্জ স্টুডিওপাড়ার
টেকনিশিয়ানদের পছন্দের মুখ। ফলে একটু রাজনৈতিক চাপও আছে।
যাক। এই ইন্দ্রপতনে তাহলে আমার
আবার একটা তদন্তের সাক্ষী হয়ে ওঠা উঠবে।
গাড়ি টলিগঞ্জ মেট্রোস্টেশন পেরিয়ে চলল সিড়িডি মহাশ্মশানের দিকে। খালের পাশ দিয়ে যেতে যেতে বাঁদিকেই পড়ল প্রাসাদোপম 'ইন্দ্রপুরী অ্যাপার্টমেন্ট'এর চারটি টাওয়ার। ঢোকার সময় সিকিউরিটির সঙ্গে পুলিশও আমাদের আটকালো। আশুদা নিজের পরিচয় দিতে ওয়াকিটকিতে কথা বলে আমাদের গাড়ি ছেড়ে দিল পুলিশ। দেখলাম গেটের বাইরে বেশ কিছু রিপোর্টার ভিডিওক্যামেরা হাতে করে দাঁড়িয়ে আছে ক্ষুধার্ত বাঘের মতো।
যেখানে ঘটনাটা ঘটেছে অর্থাৎ যে লনের ওপর দেহটা পড়েছিল, সেটি টাওয়ার টু-এর
সামনে। জায়গাটিকে কর্ডন করে দিয়েছে পুলিশ। তথাগত অধিকারী সেখানেই ছিল। আমাদের গাড়ি
থেকে নামতে দেখে এগিয়ে এল। আমরা সরাসরি চললাম ক্রাইমস্পটের কাছে। ছোট্ট বাগানের পাশেই
পাথরের পেভমেন্ট। সেখানে চক দিয়ে দাগ কেটে
রাখা হয়েছে দেহের অবস্থানটি। পেভমেন্টের উপর শুকিয়ে যাওয়া কালচে খয়েরি রক্তের দাগ তখনও
স্পষ্ট। যদিও শুভায়ুবাবুর দেহ ইতিমধ্যেই চলে গিয়েছে ময়নাতদন্তর জন্য। আশুদা হাঁটু গেড়ে
বসে দেখছিল জায়গাটা। তারপর তথাগতকে জিজ্ঞেস করল কোন জানলা দিয়ে উনি ঝাঁপ দিয়েছিলেন।
তথাগত অঙ্গুলিনির্দেশে দেখিয়ে দিল সেই জানালা। আশুদা গভীর মনোযোগ দিয়ে কী যেন মাপতে
লাগল। তারপর বলল, "ফ্ল্যাটে এখন কারা আছে?" তথাগত বলল, "শুভায়ুবাবুর
ওই টাওয়ারেই দুটো ফ্ল্যাট ছিল। আপাতত ফ্ল্যাটের সদস্যদের পাশের ফ্ল্যাটে সরিয়ে দিয়েছি।
আর ওদের শহর ছাড়তে বারণ করা হয়েছে।"
-গুড। তাহলে যে ঘর থেকে উনি ঝাঁপ
দেন, সেই ঘর এখন খালিই আছে, তাই তো?
তথাগত মাথা নেড়ে জানাতেই আশুদা
আমাদের নিয়ে চলল সেই ঘরে। তথাগত দরজা খুলতেই দেখলাম অতিপ্রশস্ত বসবার ঘরে গোণাগুন্তি
আসবাব। ঘরের দুই পাশে দুটি শোবার ঘর। বামদিকে রান্নাঘর, বাথরুম আর পরিচারিকাদের থাকার
সার্ভেন্ট কোয়ার্টারের দরজা। ঘরের দেয়ালে শুভায়ুবাবু ও নবনীতার বৈবাহিক সাদাকালো ছবি,
আর বেশ কিছু সিরিয়ালে অভিনয়ের কোলাজ। আশুদা হাতে দস্তানা পরে যে জানলা দিয়ে শুভায়ু
দে ঝাঁপ দিয়েছিল, তার কাছে চলে এল। সত্যিই জানলাগুলো দেখলে বুক দুরুদুরু করে। জানলার
কাঁচের কবাট খুলে দিলে কোনও গ্রিল নেই। প্রকাণ্ড
খোলা জানলা থেকে এতো উঁচু থেকে নিচের দিকে তাকালে মাথা ঘুরে যায়। অলোকেশের আশঙ্কা অমূলক
ছিল না বুঝতে পারলাম। জানলা দিয়ে নীচে তাকালে যেখানটা পেভমেন্টের ওপর চকের দাগ দিয়ে
রেখেছে পুলিশ, সেখানটা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। ঠিক সরাসরি উলম্বভাবে নীচে না হয়ে জায়গাটা
অতিভুজের মতো খানিকটা দূরে রয়েছে। আশুদা সেদিকে খানিকক্ষণ তাকিয়ে কী যেন ভাবল। তারপর
জানলার কাঠের ফ্রেম গভীর মনোযোগ দিয়ে দেখতে লাগল। বেশ খানিক দেখার পর তথাগতকে বলল,
-ফরেন্সিক এসেছিল?
-হ্যাঁ আশুদা।
-বেশ। চলো এবার।
নীচে নেমে আরেকবার ঘটনাস্থল দেখে
আশুদা তথাগত অধিকারীকে বলল, "ওনার ময়না তদন্ত কোথায় হচ্ছে?"
তথাগত জানাল, দেহ পিজি হাসপাতালে
পাঠানো হয়েছে। ওখানে সম্বরণদা আমার পরিচিত। আশুদা একবার দেহটা দেখতে চাইল।
-আর ফরেন্সিক কী কী পেল আমাকে জানাতে
বল। আর, ওই ঘটনার দিন, ওই ঘরে বা আশেপাশে যারা প্রত্যক্ষদর্শী ছিল, তাদের সঙ্গে আমি
একটু কথা বলতে চাই।
তথাগত মনোযোগ দিয়ে শুনছিল। আশুদা
যে তদন্তে আগ বাড়িয়ে এগিয়ে এসেছে, এতে তাকেও ভিতর থেকে নিশ্চিন্ত মনে হল।
-আপনি কি কিছু সন্দেহ করছেন আশুদা?
একজন সাইকায়াট্রিস্টের বয়ানও আমরা নিচ্ছি। ঘটনা ঘটার ঠিক আগেই উনি হোম ভিজিটে এসেছিলেন।
আশুদা চকিতে আমার সঙ্গে চোখাচোখি
করে বলল,
-হ্যাঁ। ডাক্তার অলোকেশ দত্ত। খুব
ভালো ছেলে। আজ সকালে এসেছিল আমার কাছে। খুব ঘাবড়ে গেছে। ওর বয়ানটা নিয়ে নিও। আর এখনই
মিডিয়াকে কিছু জানাবে না। বলবে তদন্ত চলছে।
গাড়িতে উঠতে উঠতে আমি জিজ্ঞেস করলাম,
"তুমি কি অন্য কিছু সন্দেহ করছ আশুদা?"
আশুদা উদাসচোখে বাইরের দিকে তাকিয়ে
বলল, "ওপেন অ্যাণ্ড শাট স্যুইসাইড কেস এটা নয় মনে হচ্ছে”।
-কেন?
-বলব। অনেকগুলো সূত্র ভিতর থেকে
আমাকে ভাবাচ্ছে। অলোকেশের জন্যই অবশ্য জড়িয়ে পড়লাম। সব বলব। আপাতত বাড়ি চল। আর যাবার
পথে একবার পিজিটা ঘুরে যাই। শুভায়ুর বডিটা একবার দেখা দরকার।
(ক্রমশ)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন