মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫

রীনা ভৌমিক

 

কবিতার কালিমাটি ১৫০


মুহূর্ত  

 

খোলশটা কিচ্ছু নয়, বুঝলি রে পাগল...

একটা 'মুহূর্তে'র জন্য এতো আয়োজন

নিজেরি কায়াকল্পে নীড়ে ফিরি, পাখি

তুই তো মানুষ নোস; আয়না আমার...

 

মগ্ন দেখি, তোর চোখে নীলরঙা রোদ

আমার গোপন নদী দিক ভুলে যায়

জীবন কেঁচুলি ছাড়ে জন্মান্তর বোধে

নতুন গল্পের বাঁকে পাখি ওড়ে, পাখি পোড়ে...

 

মুহূর্তটুকু বুকে নিয়ে জেগে থাকে প্রেম

ক্যানভাস রঙ ছোঁয় প্রবল তৃষ্ণায়...

 

দেহাতীত

 

ওরা যে যার নিজের আকাশে ওড়ে

আমার সুফিয়ানা রঙ

'ইশ্ক ইশ্ক' বলে ভোরের শিশির কুড়ায়...

 

ঠিক সেসময় একটা মরা নদীর

সমুদ্র কিংবা পাহাড়ের গল্পে

মন উথাল পাথাল করে

 

একটা চাতকের চোখে আষাঢ়ের

কালো মেঘ নরম ছবি আঁকে,

সে নিরাময়ের বৃষ্টি-গন্ধে ভেজে

 

একজন আলাভোলা বাউল

দেহতত্ত্বের 'তারানা'য় ঈশ্বর স্পর্শ করে...

 

কবি

 

ব্যথাগুলো যেখানে দাঁড়িয়ে

আর্তি নাম পায়

চাওয়াগুলোকে মনে হয় বেহায়া

 

সেখানে ঈশ্বর জেগে ওঠেন

হাতুড়ি ছেনিতে; মগ্ন-শিল্পী...

 

আমায় ঋদ্ধ করেন যন্ত্রণায়...

শূন্যের ভেতর ওঠে কান্নার ঢেউ  

বাঁশি বাজে নিশিদিন কি মায়ায়...

অস্তিত্বের শিকড় জোরে কে যেন ঝাঁকায়

আমি আলমোড়া ভাঙি, কবিতায়...


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন