কবিতার কালিমাটি ১৩৯ |
কারাদন্ড
ফুলগুলো নিষ্পাপ জেনেও, কারাগারে পুঁতে দাও চারা।
কী তার কারণ? কোন অপরাধে?
যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাও, উত্তর ছড়িয়ে রাখো দেওয়ালের
ওপারে।
বলো - ওপারের দৃশ্য, প্রকৃতি এক।
এক তবু কোথাও যেন এক নয়।
এপারের সুখ-দুঃখ সব, ঝরে যাওয়া পাতার রংয়ের।
ওসব দীর্ঘ আলাপ থাক
বহু খুঁজে পাওয়া গেছে ফুলের অপরাধ
জানা গেছে, জন্মই তার আজন্ম পাপ।
হালচাল
খালি মাথা, খালি পেট, নড়েচড়ে বসে
উপস্থিত হাজিরা দিই চেতনার ক্লাসে।
মন দিলে মাসের বাজারে,
ভুলে যাই দর কষাকষি, ফর্দের ধারাবাহিকতা
গণনা করতে যেয়ে বুঝি, গণিত মানেই শঠতা
খালি মাথা, খালি হাত নিয়ে
ফিরে যাই উনুনের পাশে
হাড়িতে জলও রাঁধে না আর
চোখের পানিও শুকিয়েছে।
অবশেষে,
জানা গেলো উন্নয়নের দেশে
মৃত্যুতে সব খিদে মেটায় নিমেষে।
ঘর
সপ্তাহ ঘুরে, ছুটিটাকে তুলে দিই সন্ধ্যার ট্রেনে
ছুটির ছুটে চলা দেখি, স্বপ্নের তড়িঘড়ি দেখি
পকেটও হালচাল বুঝে, কারো প্রিয় ফুল কিনে রাখে
পৌছানোর অপেক্ষা চলে, কণ্ঠটা ভাসে ফোনকলে
ঘড়ির টিকটিক শুনে, নিঃশ্বাস ভারী ভারী হয়।
আমি শুধু চেয়ে চেয়ে দেখি
কে কেমন ছটফট করে, ঘরে ফেরার তাড়ায়।
হঠাৎ মনে পড়ে যায়
আমার তো ঘর নাই, ঘর নাই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন