সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৪

নীতা বিশ্বাস

 

কবিতার কালিমাটি ১৩৯




মেয়েটা রাত্তির জাগে

 

(১)

 

জেগে থাকা রাতেদের সাথে

মেয়েটিও কতদিন ধরে জেগে আছে 

সে তো জেনেই গেছে ঘুম তার কাছে

চুড়ান্ত বিলাসিতা! সে জেনেছে

দিনে-রাতে জাগ্রত রেটিনা নিয়ে

নারীদের ঘর ও বাহির…

 

ঘুমকে নিজের কোলে ঘুমপাড়িয়ে রেখে

মেয়েটা রাত জেগে

রাতের চরিত্র লেখে

দেখেছে সে সাথে রেখে জাগ্রত কৃপাণ,

চুড়ান্ত ষড়যন্ত্রের কাছে সে কৃপাণ ভোঁতা হয়ে যায়। 

মেয়েটি এখন

দুর্বিসহ রাত্রি লেখে, দিনের অন্ধকারও লেখে…  

 

তারারাও রাত জাগে

মেয়েটি প্রশ্ন রাখে জেগে থাকা তারাদের কাছে…

 

(২)

 

রাতগুলো উল্লাসে নিভিয়ে রাখে

প্রত্যাশিত সুরক্ষার আলো,

ঘুমিয়ে থাকা ল্যাম্পপোষ্ট আনমনে

হা হা হাসে মেয়েটার পাশে

নিকষ অন্ধকার মেখে…

ঈশ্বরও (যদি থাকে কেউ!) মিলিয়ে হাত

আনন্দে উল্লাসে 

আপডেট রেখে চলে নারীস্ক্রিনের জাতশত্রু-অ্যাপগুলোর    

কবে কে দরজা নেড়ে নিজেদের জঘন্য ফতোয়া জানালো… 

 

মেয়ে চিরকাল

কাটিয়েছে রাত্রি লিখে, অন্ধকার লিখে

হারিয়ে ফেলেছে এই পৃথিবীর মাতৃময়ী আলো।

 

(৩)

 

দিন-রাত জাগ্রত থেকেও

কিছু কি জাগরণ এলো তার কাছে!

বুঝেছে সে মহাকাল এসে  

বদলে দেয় শব্দের অর্থ 

ঠোঁটে মুখে আঙুলে চোখে

শব্দে কলমে…

যে ঘুম ঘুমিয়ে ছিল মেয়েটির কোলে 

তার কোনও দায় নেই জেগে ওঠবার।

কেউ কেউ স্বপ্ন ভাঙিয়ে খায় অত:পর

কেউ আবার ভাঙাস্বপ্ন প্লাসটারিং করে।

ঘুম আর মেয়েটিকে চিনতে পারে না।

 

কাঁটায় কাঁটায় তুলে রাখা

উল্টো পাল্টা দিনগুলো, না বুনে  

খানখান করে

অভয়া নির্ভয়া তিলোত্তমা এবার ঘুমাতে চায়

নির্ভয় নিশ্চিন্ত এক প্রত্যয়ের ঘুম।

এ পৃথিবী চোখ মেলে দীপ্রকন্ঠে ঘোষণা করুক

এবার জাগবে শুধু  

আইনের রক্ষকের তীক্ষ্ণফলা সুযোগ্য তর্জনী…

 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন