সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৪

রাহুল দাশগুপ্ত

 

ধারাবাহিক উপন্যাস

একটি অপরিকল্পিত হত্যার কাহিনী

 


(৩৭)       

বিহান ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করে। সমিধার নেশাও কেটে যায় কিছুদিনের মধ্যে। আর তার জন্য হৃদয়ও দায়ী থাকে কিছুটা। উপমার জন্মদিনে একটা পার্টি দেওয়ার কথা বলে সে। বিহানই খবরটা দেয়। কিছুদিন আগেই ট্যাক্সির ওই ঘটনাটা ঘটেছে। সমিধা ভেতরে ভেতরে জ্বলছিল। সে বিহানকে বলে, ও পার্টি দেওয়ার আগেই আমি পার্টি দেবো।

পার্টি? কী উপলক্ষে পার্টি দিবি তুই?

কেন? তোর জন্মদিন উপলক্ষে। সেদিনই তোর সঙ্গে আমার সম্পর্কের কথাটা সবাই জানবে। তোর জন্মদিন সছে না?

বিহান কোনওদিন ভাবতেও পারেনি ওর জন্মদিনে কোনও পার্টি হতে পারে। এই সেই শেষ স্টেশন যেখানে ও পৌঁছাতে চেয়েছিল। ও বুঝতে পারল লক্ষ্যে পৌঁছতে আর বেশী দেরী নেই। সমধার মাথা থেকে বিপ্লব, প্রতিবাদ, রাজনীতির ভূত নেমেছে। ধনী ব্যবসায়ীর মেয়ে পথে এসেছে এবার। অনেকদিন ধরে ধৈর্য ধরার ও সব কিছু সহ্য করার সুফল ও এতদিনে পেতে চলেছে।

বিহানের জন্মদিনে সত্যিই এলাহি কাণ্ড করল সমিধা। বলা যায়, দুহাতে টাকা ওড়াল। যেমন খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা হল, তেমনই রাজকীয় সব আয়োজন। ও যে কতটা ধনী, সেদিন ও সবাইকে বুঝিয়ে ছাড়ল। তাক লাগিয়ে দিল সবাইকে। ওর মধ্যে যে সরল সাদাসিধা অনাড়ম্বর ব্যাপার ছিল, সেটাই আর রইল না। নিজেকে জাহির করার নেশা যেন পেয়ে বসেছিল ওকে। বিশেষ করে হৃদয়কে যেন ও দেখাতে চাইছিল, দ্যাখ কী পেতে পারতিস তুই, আর কী হারিয়েছিস।

কিন্তু এতেই সে সন্তুষ্ট হল না। আরও যেন কিছু চাইছিল। অন্তত সেদিনের অপমানের বদলা নিতে। মা নয়, ওর ভেতরে এখন পুরোপুরি দখল নিয়েছে ওর বাবা। এখন ও দেখিয়ে দিতে চায় কতদূর নিষ্ঠুর হতে ও পারে। আর সেই সুযোগ পেয়েও গেল আশ্চর্যভাবে। সারারাত সমিধা আর বিহানকে নিয়ে হৈচৈ করল বন্ধুরা। সমিধা খুব ঘনিষ্ঠ হয়ে বসেছিল বিহানের। হৃদয়কে যেন ও দেখাতে চাইছিল, আমাকে তুই প্রত্যাখ্যান করেছিলি বটে। কিন্তু তার জন্য আমার খুব একটা ক্ষতি হয় নি। আমি আমার মতো করে জীবনের আনন্দ খুঁজে নিয়েছি। আর তার সঙ্গে তোর কোনও সম্পর্ক নেই।

ঘটনাটা ঘটল ভোররাতের দিকে। ক্লান্ত হৃদয় একটা সোফায় গিয়ে শুয়েছিল। আর তখনই একটা শুঁয়োপোকা ওর কানের মধ্যে ঢুকে যায়। শুঁয়োপোকাটা ছিল ফুলের মধ্যে। গোটা বাড়িটা ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছিল। হৃদয় ভাবতেও পারেনি, যে ফুল ও এত ভালোবাসে, সেই ফুল থেকেই ওর এতবড়ো বিপদ হতে পারে। ওর কানের মধ্যে যেন ভূমিকম্প শুরু হল। পোকাটা সারা শরীর দাপিয়ে ছটপট করছিল আর বেরোনোর পথ খুঁজছিল। হৃদয় একপাশে কান কাত করে অপেক্ষা করতে লাগল। পোকাটা ওর কান থেকে বেরিয়ে এল প্রায় আধঘন্টা পরে। কিন্তু হৃদয় তখন রীতিমতো অসুস্থ বোধ করছে। পোকাটার শুঁয়োগুলো যেন তখনও ওর কানের মধ্যে রয়ে গেছে। একটা প্রবল অস্বস্তি হচ্ছে। এতক্ষণ হৃদয় কাউকে কিছু বলেনি। চুপ করে ধৈর্য ধরে সব কিছু সহ্য করেছে। এবার ও পাশেই শুয়ে থাকা বিশ্রুতকে ডাকল। গোটা ঘটনাটা জানাল।

তারপর বলল, অসুস্থ লাগছে খুব। বাড়ি যেতে চাই। সমিধাকে বলে একটা গাড়ির ব্যবস্থা করতে পারবি?

বিশ্রুত চোখ কচলে উঠে বসল। বিহান ও সমিধাকে নিয়ে তখনও হৈচৈ চলছে। তার মধ্যেই বিশ্রুত গিয়ে হৃদয়ের অবস্থাটা জানাল। সমিধা শুনল বটে, কিন্তু সেভাবে আমল দিল না। একটু অন্যমনস্ক থাকার ভান করে বলে উঠল, গাড়ি তো একটাই আছে। সেটা তো দিতে পারব না।

ব্যাপারটা জরুরি, বিশ্রুত বলল। এখান থেকে মেইন রোড অনেকটাই দূরে। এত সকালে ট্যাক্সি পাওয়াও খুব কঠিন। হৃদয়কে তাহলে এতটা পথ হেঁটে যেতে হয়।

আমিই বা কী করতে পারি? সমিধা বলল। ওটা আমাদের লাগবে। একটু পরেই আমি আর বিহান বেরোব।

সমিধার নিষ্ঠুরতা দেখে অবাক হয়ে গেল শ্রমণ। কিছুতেই হৃদয়ের অবস্থাটা বুঝতে চাইছে না। হয়ত বা ইচ্ছে করেই। তবু শেষ চেষ্টা করল সে, অন্তত মেইন রোড অবধি পৌঁছে দে। ওখান থেকে কিছু না কিছু পেয়ে যাবোই। 

অসম্ভব। সমিধা নিজের জায়গা থেকে একচুলও নড়বে না। এক সেকেণ্ডের জন্যও এখন গাড়িটা দেওয়া সম্ভব নয় আমার পক্ষে...

বিশ্রুত পুরোটাই জানাল হৃদয়কে। বাইরে তখন অল্প অল্প আলো ফুটেছে। হৃদয় বলল, আমি আর এক মুহূর্তও এখানে থাকতে চাই না। এক্ষুণি বাড়ি যাবো। গাড়ি না দিলে না দেবে। মেইন রোড পর্যন্ত হেঁটেই যাবো।

সমিধা ওদের বেরিয়ে যেতে দেখল। হৃদয়কে দেখে সত্যিই খুব অসুস্থ লাগছে। খুব হাসি পেল সমধার। এতদিনে হৃদয়কে তবু অপমান করা গেছে। শাস্তিও দেওয়া গেছে কিছুটা। এবার থেকে সমিধাকে হেলাফেলা করার আগে ও কিছুটা থমকাবে। কিন্তু এখনও সমিধার বুকে অনেক জ্বালা। সামান্য একটু উপশম হয়েছে মাত্র। ক্ষতির পর ক্ষতি। তার শোধ নিতে হবে না? মানুষকে আঘাত দিলে তবেই সে মূল্য দেয়। নরম মানুষকে কেউ গ্রাহ্যের মধ্যেই আনে না।

ফেরার পথে বিশ্রুত জিজ্ঞেস করল, সমিধা এরকম করল কেন?

জানি না। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল হৃদয়। একটু বিভ্রান্তই দেখায় তাকে। বলে, ও তো এরকম করে না। আমিও ঠিক বুঝতে পারছি না।

হৃদয় যে পার্টিটা দিয়েছিল, সেটার জাঁকজমক ছিল অনেক কম। বাইরে সেদিন দুর্যোগ। বৃষ্টি পড়েই চলেছে। তবু বাকি সবাই এসেছিল। একমাত্র অনির্বেদ আসতে পারে নি। পরে ওরা অনির্বেদের বাবার মৃত্যু সংবাদ জানতে পেরেছিল।

সেদিনও সমিধা একটা কাণ্ড করল। একটু রাত করেই ঢুকল সে। তারপর এসেই বলল, আধঘন্টার মধ্যেই আমাকে চলে যেতে হবে। মা অসুস্থ।

হৃদয় বলল, খেয়ে যাস অন্তত।

কিন্তু সমিধার আধঘন্টাও সহ্য হল না। উপমার পাশে হৃদয় সেজেগুজে দাঁড়িয়ে আছে। এই দৃশ্যটাই অসহ্য হয়ে উঠল ওর কাছে। মিনিট দশেক পরেই উঠে গিয়ে হৃদয়কে বলল, মা ফোন করেছিল। আমাকে এক্ষুণি যেতে হবে।

ঠিক আছে, সবাই মিলে অন্তত একটা ছবি তুলি।

সমিধা রাজি হল। সবাই মিলে পাশাপাশি দাঁড়িয়েছে। উপমার পাশে হৃদয়। বিহানের পাশে সমিধা। ফোটোগ্রাফার ক্যামেরা নিয়ে তৈরি। সমিধা আড়চোখে হৃদয়কে দেখল। কী সুন্দর দেখাচ্ছে আজ ওকে। ঠিক ওই জায়গায়, ওর পাশে আমি কি থাকতে পারতাম না? সমিধার ভেতরটা আবার জ্বলতে শুরু করল। নাঃ, হৃদয়কে শাস্তি দিতেই হবে।

ক্যামেরায় কী একটা সমস্যা হয়েছে। ফোটোগ্রাফার ক্যামেরা নামিয়ে বলল, আমাকে কয়েক সেকেণ্ড সময় দিন।

ঠিক এই সুযোগেরই অপেক্ষায় ছিল সমিধা। সে যেন ক্ষেপে উঠোল। তীব্রস্বরে চেঁচিয়ে বলল, কয়েক সেকেণ্ড? আমার পক্ষে আর এক সেকেণ্ড সময় দেওয়াও সম্ভব নয়। সাজানো গোছানো একটা দৃশ্যকে ভেঙেচুরে দিয়ে সে ঝড়ের বেগে বেরিয়ে এল। তারপর ছুটতে শুরু করল মূল দরজার দিকে। বিরাট হলঘর। সমিধার পেছন পেছন ছুটছে বিহান। সবাই হতবাক হয়ে দৃশ্যটা দেখছে।

বিশ্রুত অবাক হয়ে বলে উঠল, এটা কী হল?

ছবিটা আর তোলা হল না। দীর্ঘশ্বাস ফেলে হৃদয় বলল, ও চাইল না।

কেন, আমরা বাকিরা তো আছি। বিশ্রুত বলল।

কিন্তু সমিধাকে ছাড়া সেটা কি অসম্পূর্ণ রয়ে যাবে না?

কেউ কিছু বলল না। কয়েক সেকেণ্ডের ব্যাপার ছিল। সমিধা চাইল না। ছবিটাও সম্পূর্ণ হল না। হৃদয়ের জীবনের একটি খুশীর দিন। ফোটোগ্রাফার একটি অসম্পূর্ণ ছবি তুলল।

এর কিছুদিন পরি উপমার সঙ্গে হৃদয়ের সম্পর্ক ভেঙে যায়। নির্মাল্যর সঙ্গে উপমার সব ঠিক হয়ে গিয়েছে।

নির্মাল্য চলে যাওয়ার আগে বিহান ওদের বাড়িতে একটা পার্টি দেয়। হৃদয় খবরটা পায় বিশ্রুতর কাছ থেকে। বিশ্রুত বলে, আজ রাতে তো বিহানের বাড়িতে পার্টি...

আমি তো কিছু জানিনা? হৃদয় একটু অবাকই হয়।

বিশ্রুত অবাক হয় তার চেয়েও বেশী। বলে, তোকে ফোন করেনি? ফুলের বাগানের সকলকেই তো করেছে।

তাই নাকি? তারপর একটু চুপ করে থেকে হৃদয় বলে, এইসব পার্টির তো খরচা আছে। বিহানের এই অবস্থায়...

সমিধা টাকা দিচ্ছে। আগ্নেয় সব ব্যবস্থা করেছে।

ও। আবার চুপ করে যায় হৃদয়।

তোকে করল না কেন? উপমা বারণ করেছে? বিশ্রুত জানতে চায়।

হৃদয় একটু বিরক্ত হয়। তারপর বলে, এটা ওদের ব্যাপার। এ নিয়ে আমি আর ভাবতে চাই না। 

কিন্তু কারণটা জানা দরকার। বিশ্রুত বলে ওঠে। দিনের পর দিন বিহান তোর বাড়ি এসে থেকেছে। খেয়েছে। আজকের দিনে নিজের খরচে একটা ছেলেকে মাসের পর মাস খাওয়ানো তুই করিস নি? তোর মা করেন নি? আর ও কিনা জীবনে এই প্রথম বন্ধুদের নিমন্ত্রণ করে খাওয়াচ্ছে, আর কিনা তোকেই বাদ দিল?

সেটা ওর ব্যাপার। আমি কিছু জানতে চাই না। হৃদয় বলে। যদিও ওর ভ্রু কুঁচকে গেছে।

আশ্চর্য ব্যাপার। আমার আশ্চর্য লাগছে। আমি জানতে চাইব বিহানের কাছে।

আমি কিন্তু কিছু শুনতে চাইনি। হৃদয় ওকে মনে করিয়ে দেয়।

কয়েকদিন পর খুব উৎসাহ নিয়ে হৃদয়কে ফোন করে সমিধা। বলে জানিস, আমি একটা ডকুমেন্টারি বানাচ্ছি। গভীর জঙ্গলে পাওয়া যায় এমন কিছু দুর্লভ ফুল। তোর সাহায্য চাই কিন্তু।

হৃদয় নিজের সাধ্যমতো সাহায্য করে সমিধাকে। সমিধার স্ক্রিপ্টটা দেখে দেয়। কিছু জায়গায় সংশোধন করতে বলে। রাত জেগে খেটে প্রচুর তথ্য জোগাড় করে। বেশ কিছু জায়গায় সমিধাকে পাঠায়। অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেয়। সব কিছু হয়ে গেলে সমিধা ফোন করে বলে, তোর জন্যই হল। এভাবে উৎসাহ আর প্রেরণা আর কেউ দিতে পারত না।

হৃদয় বলে আমাকে একদিন শুটিং স্পটে নিয়ে যাবি কিন্তু।

নিশ্চয়ই। সমিধা জানায়।

হৃদয় অপেক্ষা করে। কিন্তু সমিধার আর কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায় না। হঠাত একদিন টিভিতে একটা প্রাইভেট চ্যানেল দেখতে গিয়ে সে দেখে সমিধার ডকুমেন্টারিটা দেখানো হচ্ছে। সে বেশ অবাক হয়ে যায়। কবে এটা শেষ করল সমিধা? ওকে তো কিছুই জানায় নি। শুটিং দেখাবে বলেছিল। সেটাও করেনি।

কিন্তু হৃদয়ের অবাক হওয়ার আরও বাকি ছিল। এটা ছিল যাকে বলে শেষ চমক। ডকুমেন্টারির শেষে সমিধা কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছে। সেখানে ফুলের বাগানের সবারই নাম আছে। বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে বিশ্রুত, আগ্নেয়, শ্রমণ আর বিহানকে। শুধু হৃদয়ের নাম নেই।

হৃদয় এবার সত্যিই চমকে গেল।

কয়েকদিন পর সমিধা ফোন করল। বলল হৃদয় আজ বিকেলে থাকবি?

থাকব। হৃদয় সংক্ষেপে জানাল।

তোদের বাড়িতে যাব। খুব খিদে পাবে তখন। কিছু খাবার ব্যবস্থা রাখিস।

কী খেতে চাস?

লুচি খাব। সঙ্গে পাঁঠার মাংস।

ঠিক আছে। চলে আসিস।

হৃদয় সমিধার আবদারে একটু মজাই পেল। মা-র কাছে গিয়ে সবটা বলল। ওর মা তখনই সব ব্যবস্থা করলেন। খুব খুশীও হলেন। বললেন, মেয়েটা খুব ভালো। অনেকদিন পর কিছু খেতে চেয়েছে। ব্যবস্থা তো করতেই হবে। বিকেলের আগেই আয়োজন সম্পূর্ণ হয়ে গেল।

সমিধা বিকেলে এল। কিন্তু একা নয়। সঙ্গে আগ্নেয়। খুব সেজে এসেছে আগ্নেয়। লম্বা ঝোলা, লাল রঙের পাঞ্জাবি। সঙ্গে নীল জিনস। খুব অবাক হল হৃদয়। বলল, তুই এলি কোত্থেকে?

আগ্নেয় হাসল। খুবই রহস্যময় সেই হাসি। এই হাসির সঙ্গে হৃদয় পরিচিত। আগ্নেয় যখন কিছু লুকোয়, তখন এভাবেই হাসে। কিন্তু কী লুকোতে চায় ও? আর লুকোনোরই বা কী আছে? ওদের যা আছে, তা ওদেরই থাকবে। হৃদয় তো আর কেড়ে নিতে যাবে না।

আগ্নেয় বলল, এদিকেই এসেছিলাম। হঠাৎ সমিধার সঙ্গে দেখা হয়ে গেল। বলল, তোর বাড়িতে আসবে। চলে এলাম।

সমিধা আর কথা বাড়াতে দিল না। বলল, সেই সকাল থেকে খাটনি গেছে। খুব খিদে পেয়েছে। তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা কর।

যদিও সমিধা একাই খাবে বলেছিল, হৃদয়ের মা অনেক বেশীই ব্যবস্থা করেছিলেন। ওদের দুজনের অনায়াসেই হয়ে যেত। ওরা কিন্তু বেশী খেল না। দুজনে মিলে একজনের খাবারই খেল। ওদের দেখে খুব একটা ক্ষুধার্ত বলেও মনে হল না। হৃদয়ের মা সেই প্রথম একটু বিরক্ত হলেন। বললেন, সেই তখন থেকে খাবে খাবে করছিল। তেমন একটা খেল কই? শুধুশুধু এত খাটলাম।

(ক্রমশঃ)  

 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন