কবিতার কালিমাটি ১৩৮ |
কবি'রা ভুলে যায়
(২৫ জুলাই আমাদের ২৭তম বিয়েবার্ষিকী উপলক্ষে, সহধর্মিণী ফাতিমা জান্নাত, তোমাকে)
কবি'রা ভুলে যায় অনেক কিছু
তারা মানুষ। সংসার সাজায়।
বাজার করে। খায়-দায়-ঘুমায়।
অন্যেরা যা বা যা-যা করে, তারাও তা করে
সমাজের জন্য, দেশের জন্য, দশের জন্য--
তাদের করতে হয়, বাড়তি অনেক কিছু, অন্য কিছু
তুমি, তাকে, অবলা বলো, অবজ্ঞা করো, কেন?
বউ কইছে
বউ কইছে, আল মাহমুদ হইতে না পারলে
কবিতা লেখার দরকার নাই।
তাইলে আমি কী করি?
চলো, খাই-দাই, ঘুরি ফিরি--
ঘুমাই। আর সকলে যা-যা করে, তাই-তাই করি
বাচ্চা পয়দা করি, সংসার সাজাই, দালানকোঠা বানাই
সানাই বাজাই। তারপর--
যাওয়ার সময় হইলে, টুস কইরা মইরা যাই।
এছাড়া আর কোনো কাজকাম তো নাই…
আল মাহমুদ হইতে না পারলে, কবিতা লেখারও প্রয়োজন নাই।
আবদুল মান্নান সৈয়দ
এই একটিমাত্র মানুষের লেখা পড়লে
আমি লেখক হয়ে উঠি
হয়ে যাই হিরন্ময় অন্য অনন্য অনিন্দ্য কেউ
কত-কত দরোজা, কত-কত করতল, কত-কত করাতকল খুলে যায় আমার সামনে
আমি প্রবেশ করি নরকে অনন্ত নক্ষত্রবিথীর মতো
সারা গায়ে ব্যান্ডেজ জড়ানো ব্যথাতুর রোগীর মতো আমি স্বপ্ন দেখি আমি জেগে থাকি
শেষাবধি আমি-ই হয়ে যাই এক স্বপ্নতারা, রাতের সূর্য
অশোক কানন, তিনস্তর বিশিষ্ট ঘনিষ্ঠ নারী, ফলসা গাছ, ভূতের মতো জোৎস্না, সড়কের মতো পুলিশ, মোড়ের পর মোড়, অসংখ্য জটিল গিঁট এবং গিরগিটিরর মতো আধুনিক ও ইউনিক...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন