কবিতার কালিমাটি ১৩৭ |
শুধুই কমা চিহ্নে আচ্ছন্ন মায়া
(এক)
রাতকে দিন করার দিন এসে গেল, আপনি কি কিছু বলবেন
হে প্রিয়তম অন্ধকার, যথেষ্ট সন্দেহ ছাড়াই কিছু ড্রপ সিন এবং হাওয়ায় পর্দা উড়ছে,
উড়ন্ত পাতারা শূন্যের বুকে ভাসিয়ে দিচ্ছে তার কাম ক্রোধ, বাতাসও তার মারাত্মক তৃষ্ণায়
ছিঁড়ে ফেলছে অজ্ঞাতবাসের ন্যূনতম আড়াল, আক্রান্ত নিঃস্বে এখনো সেভাবে রজনীগন্ধা ফুটেনি,
গন্ধ ছড়ায়নি দেবদাসীর সাদা নুপুর, তবুও মাতাল করার চেষ্টা চালাচ্ছে জোনাকির আলট্রাভায়োলেট
তরঙ্গ
আমার মূর্ধায় আটকে থাকা স্বরে মেঘেরা নাচছে খুব,
নদীর বাস্তু থেকে বেরিয়ে কোথাও জন্ম নিচ্ছে একটা উজান; সন্তাপহীন দেবদারু
(দুই)
ধানে রোদ খাওয়াতে খাওয়াতে বউটির আড়চোখে চোখ রাখছে
বন-কলমির বেগুনি ফুল; যদিও সে বাস্তুর সীমানায় মনে পড়া রাস্তার ওপাশে মরিচা রঙের ডাকবাক্স,
কিলবিল করা মেঘের গা থেকে ঝরে পড়ছে সাপের খোলস - কী অসহ্য মাইগ্রেন
শিরা-উপশিরায় ঘামে ভেজা জবজবে আর্দ্রতা আর পাটক্ষেতের
মৃদুমন্দ নাড়াচাড়ায় এ জীবনের কোনো ঋণ নেই, নীল রঙের আকাশ খুঁজেছে আশি শতাংশের সময়,
লোমকূপের ভিতর নুনের জ্বালা বাড়তে বাড়তে একটার পর একটা নৈঋতকে ভূগোলের মধ্যে ডুবিয়ে এই দিন শেষ হয়ে যায়
এরপর রাস্তাটি মুছে যায় শাশ্বত সন্ধ্যায়
(তিন)
বিকশিত হয় যদি সম্পর্ক তবে সূর্যাস্ত থেকে দূরে
চলে যেতে পারি, দীর্ঘগ্রীবার হাঁসটি যদি রাজি থাকে তবে কোনদিন হাসপাতাল নাও যেতে পারি,
এখন আমার সামনে কোন চিরচিরে অনুভূতি নেই, দূরে দূরের জোটবাঁধা বৃক্ষগুলিও খুব মানানসই
নয় এ কাহিনীতে, ভিন্ন ভিন্ন আরো কয়েকটি কুয়াসার ইতিকথা নিয়ে জলরেখা আড়াল করে কবিতার
বায়ু বিহার, এখনো মাটি এবড়োখেবড়ো, প্রতিটি হোঁচটের আলাদা আলাদা কোনো নাম নেই
এক জন্মে এত নির্বাসন - কিভাবে যেন নদী বয়ে যায়,
তরল যোগকলা ছাড়িয়ে পাখি ওড়ে নিঃশব্দ স্বাক্ষরে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন