কবিতার কালিমাটি ১৩৭ |
জলভাষা
(১)
দেখাদের চোখে
আরও কিছু
ডুবুরি নামাই!
কিছু নাকিছুর দিক থেকে
কিছু রঙ
লেগে
লাগোয়ার
আগুপিছু
নাবলার খুশিতে।
জোড়াতালি সেই ঢের
তালিজোড় সিমসিম
কনকের
চাপ
স্নান সেরে চাঁপার কলস
চেপে চুপে
একবুক
জলভাষা
এই গেলো ভাসানে।
কাকবর্ণ ডেকে
সকালের নদী
নাম ভেজে
নদীনাম একপাক
এই
তার ভাটিয়ালি…
(২)
ভোরপাখি ছায়ার কাছে
বসে
রোদের কসম নিচ্ছে
শবনম শুনছে
রেশমির
লতাবি তান।
বিতানে লতার কুহু
নেমে
তারপরও …
খুলে রাখা নৌ
স্বাদের
কুলুপে
গন্ধ বাতাস
বাতাসিয়া লুপ
কেউ
তো নিলো না।
তবে তিলকের তিল
কামোদে
যাওয়ার আগে
আরেকটা ভুল
ও
ভুলে যাওয়া
মদভর দিনখুশ।
বাসাটার পাশে ভালো
ভালোটার পাশে
ভুল
অভ্যাস করা
দুরকম চোখ।
একরঙ সন্দেহে
বারবার
পাশ দেয়
পাশাকে …
(৩)
চুপবসার সঙ্গে পৃথিবীর
সবচেয়ে বড়ো নিঃসঙ্গ।
মৌনতা বসে দুপরত
নিঃশব্দ ছেঁড়া ফাটা
আপেলের দেশ
অবাক ছড়ানো।
শব্দকোষে সন্ধ্যার ডাক
ডেকে ডেকে বিয়ারিং
আরেকটু বেঁচে থাকা
ঘন্টার দোল
পুরনো
সাইকেল পেরোলো।
নাদেখার খুশবু ফিরে
কাঁচাকলমের পোষ্ট
আমাদের
কেঁদে ওঠা আলপথ
এপিক হয়ে উঠলো।
মাধ্যাকর্ষ এবং মধ্যমায়
ঝিরিঝিরি রাতের
ফিসফিস
তখনও ফিরছে …
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন