কবিতার কালিমাটি ১৩৬ |
যেন মায়ার ভিতরে
অনেকদিন লেখা হয় না
পথের মতন
এ জঙ্গল সে জঙ্গল ঘুরে
ছোটো বেলুনের স্বপ্নে থেকে যাওয়া
যেন মায়ার ভিতরে অবসন্ন নদীটির
চোখে ছেড়ে আসা গ্ৰাম
অনেকেরই ভালো লাগে না এত
বেশি জড়তা
গ্ৰস্ত হয়ে থাকা
কোনো অভিসম্পাত যেন মগ্ন
করে দিয়েছে মৈনাককে
এতো বড়োও নয়
প্রবণতা দাবি করে তবু
স্বপ্ন থেকে স্বপ্নে চলে যাওয়া
যেন মায়ার ভিতরে অবসন্ন নদীটির
চোখে ছেড়ে আসা গ্ৰাম
এ জঙ্গল সে জঙ্গল ঘুরে
অনেকদিন লেখা হয় না
পথের মতন
আলাওল
অন্ধ সন্ধিপতাকার
নীচে এলে
ঘৃণা বাড়ে
অক্ষম পুরুষ যেন
শরণার্থী শিবিরে শিবিরে
ঘুরে আশাহত
প্রচণ্ড শোকে
উষ্ণ হলে
বাক্য নেমে আসে
যেন দেববাক্য
অভ্রান্ত সফল
সকল জখম থেকে
নিজেকে বিযুক্ত করে
চাঁদ দেখা
মধ্যযুগের চন্দ্রাহতের মতন
আঘাতই রচনা হয়ে যায়
একটি রাতের পাখি...
কোনো কোনোদিন
একটানা এমন হয়
হাওয়া বয়ে যায়
না যায় ছোঁয়া তার অক্ষয় চলা
পথও দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়
আমলকী উষ্ণতা বিশ্রাম
ঘরের কথায় জাগে পুরাতনী গান
পুরোপুরি থেমে যাওয়া
স্তিমিত ঢেউয়ের শোক
দুঃখঋতুর মতো বাজে
কোনো কোনোদিন
বিনিদ্র বন্দরের দেহে শীতের রুক্ষ
ত্বক
অনেকের চোখে ঠিক ধরা পড়ে যায়
শীত
যে হিমায়িত করে নিতে চায়
হেমন্তের সমস্ত বিলাপগুলি রাত্রি
গভীরতম
হলে তারই অকারণ দানে আদিগন্ত
বিষাদগুলি সংগীতের মতো বেজে ওঠে
কী নির্ভয় পৃথিবী তখন
একটি রাতের পাখি ডেকে ডেকে যায়
বন বলে পথ বলে
আজ কয়দিন হল
একটা অক্ষরও লেখা হয়নি
শুধু তরজমা তরজমা আর তরজমা
এবার একটু বাইরেটা দেখে আসা যাক
চুয়াগারার একটানা ঝিরিঝিরি
জঙ্গল বলে চল চল চল
শূন্য গ্ৰামে ঝুলে থাকা
মেঘ আদিবাসিন্দাদের হয়ে
ভূমি পাহারা দিচ্ছে
সে গ্ৰামের মানুষেরা গেছে যে কোথায়
হাসাপাথরের পথে লাল ধুলো
উঁচু মাঠে কাজ করে গাঁওবুড়ি
একটি অপার মানুষী দেখা যায়
হবে হয়তো পানমনি বা উপেল
বোঝা যায় প্রেম আছে মনে
যে করেছে তাকে অনুবাদ
নষ্ট করেছে মনে হয়
বড়দি পাহাড় আর কতদূর
এপ্রশ্নের উত্তরে
কাছে এসে পথও বলে দেয়
পথও বলে চল চল চল
চলার তরজমা কি হয়
হয়তো বা হয়
ক্যানেল শুকিয়ে গেলে হয়
পত্রহীন গাছ দেখে হয়
আত্মার বিনষ্টি দেখে হয়
আত্মার আলো মেখেও হয়
তাই
বন বলে চল চল চল
পথ বলে চল চল চল
অন্তত আজ
তরজমা না করেই চল
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন