কবিতার কালিমাটি ১৩৬ |
কাঁচ ভাঙছে
কাঁচ ভাঙছে অথচ ধুলো থেকে অত সহজে সরছে না
পরাশ্রয়ী মূলও সরছে না, গাছও একইরকম
নির্লিপ্ত উদাসীন ঋজু চাউনিতে
আগুন থেকেও এক মুহূর্ত সরে না শয়তানের চোখ
নাচিয়ে ডাকে 'আয়'
ভালোবাসা থেকে সরছে না কেউ এতটুকুও
জানে পোড়ায় অসহনীয় রূপে...
পারাপার
যেন অজানা নৌকায় অথৈ যাওয়া-আসা...
অনাবিল ঘাটের পদ্ম পার হই
পারাপার শিখি, দ্বৈতগমনে যোগিনী নদীটি
হৃৎ নড়লেই আয়ত্তে এসে যায় আকাক্ষিত চর্যাগীতি
তিন-দুই ছত্র মেশে একে, একে একে চার
মৃত্যু মোহাতুর হয়ে উঠে চুম্বনে...
ইনকাফুলের ঘ্রাণ
(১)
গোলাপের ভালোবাসা ভুলে ইনকাফুলের ঘ্রাণ
নাকে এসে ঘুঙুর পরায় যখন
নিখিলের ছোঁয়া লাগে যেন অনন্তে...
ওঁ মধুবাতা মন্ত্র তার মধ্যেই
বাতাসে মধু, নদীর জলেও মধুর ক্ষরণ
জড়জন্তু-ধূলো সকলি মধুময়
গলে যাই, গলে যাই তখন এক নিমেষে
সকল ভুলে
ভুল আনন্দ না নির্বাচন ভুল - কোনটি বলব
(২)
দাগা বিষ ছেনেই উৎসবের দিন আসে
উলম্ব খুশির ছোঁয়ায় দুঃখ চলে যায়
খই ছড়া উঠানে
কুলকুলি দেওয়া সহজ সন্ধ্যেতে
লোকায়তে মিশেছে সহজ নবান্ন প্রকৃতি
অপাপবিদ্ধ কুয়াশায়
সহজ আরও পৃথিবী
যে বহন করছে আমাদের
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন