কবিতার কালিমাটি ১৩৫ |
বকখালি : এক
চারিদিকে রাস্তা।
একটি মেয়ে অবিন্যস্ত পোশাকে
এলোমেলো হেঁটে যাচ্ছে।
সে কি কিছু খুঁজছে?
চারিদিকে শুধু রাস্তা।
অফুরন্ত রাস্তা।
কোনো পথের সন্ধানে বেরিয়েছে কি সে?
নাকি, হারিয়ে ফেলেছে জীবনের সব পথ!
বকখালি : দুই
নিঃসঙ্গ একাকী বালিয়াড়ি,
ফুঁসে ওঠা সমুদ্র আর ভবঘুরে মেঘ ছুঁয়েছে ঝাউবন,
কতদিন পর আজ পেয়েছে মানুষের ছোঁয়া।
সকাল দুপুর রাত একাকার হয়ে গেছে।
মন দিয়ে তারা শুনছে কবিতা, মঞ্চমুখর আলাপ।
কবিতা উৎসবের গায়ে লেগে গেছে সমুদ্রের ছোঁয়া।
ঝাউপাতার উচ্চাশা অথবা ভেজা মাটির ঘ্রাণ।
বকখালি : তিন
বকখালির ভোরের বাতাসে মিহি হিম,
শুনশান রাস্তা।
মাঝে মাঝে দু'একটা টোটো হুস করে বেরিয়ে যাচ্ছে।
গীতাঞ্জলি হোটেল থেকে একা বেরিয়েছি।
আমার গন্তব্য ইকো পার্ক,
যেখানে গতরাতে ফেলে এসেছি আমার ওষুধ।
না খুঁজেই পেয়ে গেলাম শিশির মাখা ওষুধের খাম।
বাড়তি পেলাম রক্ষীর সহৃদয়তা।
জল চাইতেই
পাম্প চালিয়ে সে হাতে তুলে দিল
এক বোতল উষ্ণ পানীয় জল।
বকখালি : চার
সকাল সাতটা।
চায়ের খোঁজে এবার চারজন একসঙ্গে।
কিছুটা গিয়েই পেলাম এক গুড়ের কারখানা।
চারটি উনুনে জ্বাল হচ্ছে খেজুরের রস
দুজনে খেল কয়েক গ্লাস রস,
জানা গেল গুড় তৈরির কিছু রহস্যকথা।
চায়ের দোকানে গিয়ে জানলাম
এখানেও মেশানো হয় অঢেল চিনি।
গুড় নেয়ার পরিকল্পনা ভেস্তে গেল আমাদের।
আপাতত চিনি ছাড়া লাল চা বিস্কুট শেষে
সি-বিচের দিকেই বাড়িয়েছি পা...
বকখালি : পাঁচ
কবি আর কবিতার বেলা অবেলার গল্প
ছড়িয়ে পড়েছে বকখালির বাতাসে।
সি-বিচ, চায়ের দোকান, টুপির দোকান
ডাবের ঠেক কিংবা বিবর্ণ বালিয়াড়ি
সর্বত্রই কবিতা বিরাজমান।
মুড়ি-ঘুঘনি, ডিম-টোস্ট কিংবা পরোটা আলুর তরকারি
ঘিরে ক্রমশ বাড়ছে গুঞ্জন।
অথবা বাস, ট্রেনের টাইম-টেবিল নিয়ে
চলছে চুলচেরা অনুসন্ধান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন