কবিতার কালিমাটি ১৩৫ |
কবিতা পড়ার ডাক
(১)
কবিতা পড়ার ডাক আর এল না। লোকাল এল।
কবিতা পড়া আর পরা এই বাস্তবে সামান্য যে যৌনতা, লোকালে উঠেই বেশ লাগল, আওয়াজ হল ঝাঁকুনির।
ও কবিতা, ও কবিতা-মাসী, ডাকলেও সাড়া দেয় না আয়োজকরা। একাই পড়ি। পড়তে পড়তে কবিদের সেই
মেকানিকের কথাও বলি। আঙুল নেই, তাকিয়ে আছে রেঞ্জ আর স্প্যানারের দিকে। দোকান খুলে বসে
আছে।
(২)
কবিতা লেখে, পড়ার ডাক পায় না, এমনই
একটা আকাশ। দস্তাবেজের উঁকি, মেঘও আছে। কবি ডাক না পেয়ে বিষণ্ণ আয়নায় দেখে রতি। ডাক-পাওয়া
ট্রেনে, রতি ও কবিতার দিকে ছুটে চলা হাজার হাজার কবিদের ব্যাখ্যা, কাটছে হাওয়ায়।
মন্ত্রীরা যে সামান্য মিষ্টি হয়, কবিতা
শুনেই তো। লাথখোর জীবন। কবিতা তো মিসফায়ার। ভোট্টু্ নো-ভোট্টু’তে ফুচকা। হামলে পড়েছে,
কবিতা সংযত।
ভিক্টোরিয়ার পরী। রেপচক্ষু তারারা,
অসংযত। মা বোন মা বোন করছে। পুলিশ, কবিতা’র পাছায় এবং কবির পাছায় নির্বিচারে লাঠিচার্জ
করতে করতে করতে করতে...
ডাক আসুক না আসুক, কাল হরতাল...
(৩)
মরার পরে ডাক এল। কবিতাও পড়লাম। এত
ঘাত, আঘাত। শ্বাসাঘাত।
ক.
অজর-জঁরে হল কবিতা রচিত
কবিতা পরিনি আমি তবু পাশে থেকো
খ.
অজর বেসেছে জঁর, এই মত
কবিতাও ফুরফুরে
নিহিত কোলাজে রাখা অবিরত
কাঁপা রং সুদূরের
গ.
জঁর-পোহানো অজরবাসা
কোন সে কবিতা
পড়লে তুমি সঙ্গী হতেই
জীবনদায়িকা?
যা হয়। পড়ার জায়গায় একটি তিল, দুটি
টোল চর হয়। জাগে। চরভোগ্যা একটিই নদী-সামলানো
কোমর। ডাকে।
আগে তোকে পড়ি
তুই এত আন্তর্জাতিক
মোদো
মরতে মরতে মনে হয় উদ্বৃত্ত-মূল্যে রাখা
স্তন
চাঁদমারি আমার
আমি কবিতাকে পড়ি এবং পরি
বেশ মিহি, সুতো
কবিতার (৪)
না-পড়া
কবিতার চেয়ে সামান্য আঁচে ডেটাবেস
কবিতা
ও কবি’র
শেষ দেখার
আগে যে বাসটা চলে গেল
জানলায়
বাক্যিহারা
বেশ একটা
নেভিগেশনের মায়া
ডেটাবেস
সামলে বাইনারি দেখল চশমায়
আর দুটো
চোখ
কবিতা
পড়ার চেয়ে টানা
না-পড়ার
কাছাকাছি ঘণ
ডেটা সামলে
নিচ্ছে শুন্য আর চোখের বাইনারি
কবি ডাক
পাবে
পাবে না
এটা একটা
নৈতিক ক্যাকোঁ
কবি
কবিতা
ডেটাবেস
এ সব নিয়ে একটি কবিতা শুধু ঘুমায়ে পড়েছে
কবি ডাকবে
কি ডাকবে না কবিতাকে...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন