কবিতার কালিমাটি ১৩৫ |
ঘর ছাড়া
ঐ যে ঝোরা থেকে গড়িয়ে নামে স্বচ্ছ জল
নিশ্চিন্তে গা ভেজায় ক্লান্ত পাখিরা
আর মানুষ ছড়িয়ে আসে দানা দানা হিংস্রতা
ঐখানে পড়ে থাকে আমাদের আহত বিশ্বাস আর বিক্ষত স্বপ্নরা।
আমাদের চোখের ছবি আঙুলের ছাপ থেকে যাবে মহাভান্ডারে
কিন্তু পায়ের ছাপ নিয়ে কেউ ভাববে না
ঘাসের ওপর, ঘর-বারান্দায়, সবজির বাগানে নরম মাটিতে দাঁড়িয়ে কতবার তুলে এনেছি
শাকপাতা।
এতকালের সম্পর্ক মাটি গাছ জলের সঙ্গে তবু...
সেখানে তাহলে কে যায় এখন?
ঘোর
কথা কমে যাচ্ছে বলে দেখার সময় বাড়ছে।
হাতের তালুতে এক প্রায় অসম্ভব জীবন
কোনো ভাবেই নামিয়ে রাখার উপায় নেই।
তবু দেখার একটা ঘোর
দেখছি জলের ওপর মেঘ মেঘের মধ্যে জল
পাখির বাসা দেখছি ট্রান্সফর্মারের খাঁজে
পথ কুকুরের শীত দেখছি, মায়ায় জড়িয়ে নিচ্ছি সব খিদে
সব আফসোস,
কুয়াশার মধ্যে হেঁটে যাচ্ছে মফস্বল...
সাইকেলের প্যাডেলে ঘুরছে সময়
সব কটা ইন্দ্রিয়কে চোখে ভরে নিয়ে
দেখতে দেখতে চলছি।
কথা কোনো কাজে আসছে না।
বাসনা
গান বুনতে বুনতে চলেছে ওরা
কোথাও কিছু ফাঁকা থাকছে না।
এরই মধ্যে ফুল ফুল ভালবাসা পাখি ওড়াতে ওড়াতে চলেছে...
বিরহ চলেছে বাঁশি হাতে, তোতা-ময়না শুক-সারি হংস
মিথুন আবার আশাবাদী।
আজ কি কোনো উৎসব হবে মাঠ জুড়ে?
তাহলে শরীর থেকে আজ জ্বর নামতে পারে তো?
গোবিন্দভোগের ফেনা-ভাত আর একটু ঘি চকচকে একটা কাঁচা লংকা দিও...
এত বাসনার কথা বল যে গেরুয়া জামা ভেতরে ভেতরে নীল
হয়ে ওঠে
এত সহজ করে চাইলাম তাও এরকম!
তাহলে গান ছড়িয়ে যারা গেল
তারা কে?
বিশেষ না অপর?
আবাদ নাকি আর্তস্বর?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন